× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এবার একাদশে আবেদন শুধু অনলাইনে

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার

এবার একাদশ শ্রেণির ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া শুধু অনলাইনে করার পরিকল্পনা  করছে সরকার। সেই সঙ্গে এসএমএস পাঠিয়ে আবেদন করার সুযোগটিও থাকছে না আর। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কলেজ ও ভর্তিতে বেশ কয়েকটি কোটা বাতিল এবং ‘ভর্তি নিশ্চয়ন ফি’ বাড়ানোর প্রস্তাব রেখে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি নীতিমালার খসড়া করছে আন্ত:শিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।গত বৃহস্প্রতিবার সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে সভায় বোর্ড কর্মকর্তারা ভর্তি নীতিমালার খসড়াটি উপস্থাপন করলে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়ায় নানান ভোগান্তি হয় বলে এবার থেকে শুধু অনলাইনে আবেদন নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। খসড়া নীতিমালায় বিভিন্ন কোটা তুলে দেয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভর্তি নিশ্চয়ন ফি ১৩০ টাকার বদলে ১৩৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি এ বছর একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিতে পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ বিকেএসপি এবং শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ প্রবাসী কোটা বহাল রেখে অন্যসব কোটা বাতিলের প্রস্তাব করেছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান। তিনি বলেন, এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া বাতিল করে শুধু অনলাইনে আবেদন নেয়া হলে ভর্তি প্রক্রিয়া জটিলতার পাশাপাশি ব্যয় কমানো সম্ভব হবে বলে কমিটি আশা করছে। অনলাইনে মোট ১০টি পছন্দের কলেজ বা মাদ্রসায় আবেদন করা যায়, সেজন্য ফি দিতে হয় ১৫০ টাকা।
এই নিয়মে কোনো পরিবর্তন আসছে না। এতোদিন প্রতিটি কলেজ বা মাদ্রাসার জন্য ১২০ টাকা ফি দিয়ে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যেতো। এই নিয়ম এবার থাকছে না। ১৫০ টাকা ফি দিয়ে ভর্তির আবেদন করার পর একজন শিক্ষার্থী যে কলেজ পাবে, তাতে ভর্তি নিশ্চিত করতে তাকে আরও ১৩৫ টাকা দিতে হবে। এটাকেই বলা হচ্ছে ভর্তি নিশ্চায়ন ফি। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে সমস্যা হবে কি না- এই প্রশ্নে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন,এখন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন সেন্টার রয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারের ডিজিটাল তথ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে। শিক্ষার্থীরা চাইলে এসব সেন্টারে গিয়ে সেবা নিতে পারবে। ফলে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে কোনো শিক্ষার্থীর অসুবিধা হবে না। নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, প্রথম ধাপের ১০ থেকে ২০শে মে ভর্তি আবেদন নেওয়া হবে। ২৭-৩১শে জুন যাচাই-বাছাই, আপত্তি ও নিষ্পত্তি করে ৮ই জুন প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। তবে পুনঃনিরীক্ষায় যাদের ফল পরিবর্তন হবে তারা ১-৩রা জুন পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাবে।দ্বিতীয় ধাপে ১৭-২০শে জুন আবেদন নিয়ে ২০শে জুন ফল প্রকাশ করা হবে। আর তৃতীয় ধাপে ২৩- ২৫শে জুন আবেদন নিয়ে ২৫শে জুন রাতে ফল প্রকাশ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, শিগগিরই একাদশে ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করে তা জারি করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর