× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নিউজিল্যান্ডকে ৯১ রানে গুটিয়ে দিয়েও মেয়েদের হার ১৭ রানে

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার

বাগে পেয়েও গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলো না বাংলাদেশের মেয়েরা। নারী টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে মেলবোর্নে নিউজিল্যান্ডকে ৯১ রানে অলআউট করে দিয়েও ১৭ রানে হেরেছে সালমা-জাহানারারা।
শুরু  থেকে  বোলিং হলো দারুণ। আগের দুই ম্যাচের হতাশা পেছনে ফেলে মাঠে বাংলাদেশ দল যেন অন্য  চেহারায়। ফিল্ডিং আঁটসাঁট, ক্যাচিং দুর্দান্ত। রিতু মনি ও সালমা খাতুনের দূর্দান্ত বোলিংয়ে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট নিউজিল্যান্ডকে একশর নীচে গুটিয়েও দিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। মাত্র ৯২ রানের টার্গেটে যেমন শুরুর দরকার ছিল তেমনটা করতে পারেনি বাংলাদেশের দুই ওপেনার আয়শা রহমান শুকতারা ও মোর্শেদা খাতুন।  মাত্র ১৯ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পরে বাংলাদেশ। মাঝে রোমানা, ফারজানারা দায়িত্বহীনতার পরিচয়দেন। অযথা রান আউটে কাটা পওে মাঠ ছাড়েন রিতু মনি ও ফারজানা হক।
আসরে সেরা ব্যাটার নিগার সুলতানা জৌতি ঘাড়ে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। যদিও নয় নম্বরে আবারো ব্যাটিংয়ে চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু তার একার পক্ষে ম্যাচ জেতানো সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশের দুই অংক স্পর্শ করেছেন মাত্র তিনজন ব্যাটার। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন নিগার সুলতানা। মোর্শেদা ও রিতু মনির ব্যাট থেকে এসেছে ১১ রান করে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ৭৪ রানে।
ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হার বাংলাদেশের কি দূর্দান্ত বোলিংটায় না করেছিল এ ম্যাচে। প্রথম চার ব্যাটার ছাড়া নিউজিল্যান্ডের আর  কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। সর্বোচ্চ ২৫ রান আসে র‌্যাচেল প্রিস্টের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের সেরা বোলার রিতু মনি। টুর্নামেন্টে প্রথমবার খেলতে নামা মিডিয়াম পেসার ১৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এবারের আসরে এখনও পর্যন্ত এটি সব দল মিলিয়ে সেরা বোলিং। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সব আসরে বাংলাদেশের কোনো বোলারের প্রথম ৪ উইকেট। ৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক সালমা খাতুন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারা ম্যাচ  থেকে বাংলাদেশ পরিবর্তন আনে চারটি। আয়েশা রহমান, রিতু মনি,  সোবহানা মুস্তারি, পান্না ঘোষকে জায়গা দিতে বাদ পড়েন শামিমা সুলতানা, সানজিদা ইসলাম, খাদিজা তুল কুবরা ও নাহিদা আক্তার।
এক ম্যাচ পর  ফেরা  পেসার পান্না ও  লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতে বেঁধে রাখেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনারকে। প্রথম চার ওভারে আসেনি কোনো বাউন্ডারি। পরের দুই ওভারে বাউন্ডারি আসে অবশ্য চারটি। পাওয়ার-প্লে ৬ ওভারে নিউজিল্যান্ডের রান ছিল বিনা উইকেটে ৩৩।    
সপ্তাহ ওভারে আক্রমণে এসেই দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সালমা খাতুন। সোফি ডিভাইনকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক ভাঙেন ৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। অফ স্পিনারকে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে ফাহিমার হাতে ধরা পড়েন ১২ রান করা নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক।
সালমা নিজের পরের ওভারে  ফেরান আরেক ওপেনার র‌্যাচেল প্রিস্টকেও। ক্রস খেলতে গিয়ে এলবি হওয়া প্রিস্ট ৩২ বলে ৩টি চারে করেন ২৫ রান। প্রথম ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ড তুলতে পারে ২ উইকেটে ৫৫।
এরপর নিউজিল্যান্ড উইকেট হারায় নিয়মিত বিরতিতে। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটার সুজি  বেটসকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি রিতু। তার দারুণ এক  ডেলিভারিতে বোল্ড হওয়া বেটস ১৪ বলে করেন ১৫।
পরের ওভারে রুমানা আহমেদকে  বেরিয়ে এসে  খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন ম্যাডি গ্র্রিন। পরের বলে নন স্ট্রাইকার হাইলি জেনসেন ফেরেন রান আউটের শিকার হয়ে। রিতু পরের ওভারে উইকেট নেন আরেকটি। এবার তার শিকার কেটি মার্টিন। পয়েন্টে আরেকটি ভালো ক্যাচ নেন ফাহিমা। তখন ৭৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে নিউজিল্যান্ড। সেই বিপদ আরও বাড়ে রিতুর পরের ওভারে জোড়া আঘাতে। ফারজানা হকের দুর্দান্ত এক ক্যাচে বিদায় নেন অ্যানা পিটারসন। আমেলিয়া  কেরকে নিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত করেন রিতু। এরপর আর  বেশিক্ষণ  টেকেনি নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। লি তাহুহুকে ফিরিয়ে সালমা গুটিয়েদেন ইনিংস।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর