৫ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র মাহবুব (১২)। এই বয়সে স্কুলে গিয়ে সহপাঠিদের সঙ্গে হই হুল্লোড়ে মেতে থাকার কথা তার। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে এখন তার ঠিকানা হয়েছে হাসপাতালের বিছানা। দরিদ্র পিতার সন্তান মাহবুব দুরারোগ্য ব্যাধি ক্রণিক এনিমিয়াতে আক্রান্ত। দিন দিন তার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার চিকিৎসা ব্যয়বহুল। সঠিক ট্রিটমেন্ট পেলে মাহবুব সুস্থ জীবন পাবে। আবারও ক্লাসে ফিরতে পারবে।
মাহবুব কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সেওরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র।
প্রথমদিকে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিলো। কিন্তু দিন দিন তার অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় তার স্কুলের শিক্ষিকা আইরিন রুবিনা হক (লিয়া ম্যাডাম) এর উদ্যোগে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল পিজি হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়। বর্তমান সে ডি ব্লক, পঞ্চম তলা, ২০ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মাহবুবকে প্রতিদিন এক ব্যাগ করে রক্ত দিতে হচ্ছে। ডাক্তার বলেছেন, জীবন বাঁচাতে প্রতিদিন এক ব্যাগ করে ‘ও’ পজিটিভ রক্ত অনেকদিন পর্যন্ত দিতে হতে পারে। এখন পর্যন্ত ৭ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। তার চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদী। কিন্তু এই ব্যয়ভার বহন করা হতদরিদ্র অসহায় পিতামাতার পক্ষে সম্ভব নয়। সন্তানকে চিকিৎসার অভাবে এভাবে নিঃশেষ হতে দেখে পিতা-মাতার আহাজারি করছেন।
এই অবস্থায় মাহবুবের স্কুলের শিক্ষক, আত্মীয়-স্বজন ও পিতা-মাতা সমাজের বিত্তবানদের কাছে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। সাহায্য করতে যোগাযোগ ০১৩১৮৭৩২১৮৯(বাবা) ০১৭৮০২৫৮৩৫০(বিকাশ নম্বর, ভাই)।
এছাড়া হাসপাতালে স্বশরীরে গিয়েও সাহায্য করা যাবে।
বেড নং- ২০, ডি ব্লক(পঞ্চম তলা)
শিশু বিভাগ
পিজি হাসপাতাল, ঢাকা ।