× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনা আতঙ্কে ভারতের শেয়ার বাজারে ভূমিধস পতন

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) মার্চ ১২, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৩:০৬ পূর্বাহ্ন

করোনা আতঙ্কে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভারতের শেয়ার বাজারে ভূমিধস পতন দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বর্তমানে বিশ্বে মহামারির আকার নিয়েছে বলে বুধবার ঘোষণা করার পর গত রাত থেকে বিশ্ব শেয়ারবাজারে পতন দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এনওয়াইএসই ও ন্যাসডাক, জাপানের নিকেইসহ অধিকাংশ শেয়ার সূচক ছিল নিম্নমুখী। ভারতেও এই পতন গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে নি¤œমুখী হয়েছে। বৃহস্পতিবার  মুম্বই শেয়ার সূচক- সেনসেক্স পড়েছে ২৬০০ পয়েন্টের বেশি। ন্যাশনাল ফিফটি-নিফটি নেমে গিয়েছে ১০ হাজারের নীচে। পতন হয়েছে ৮০০ পয়েন্টেরও বেশি। ডলারের তুলনায় রুপির দামেও রেকর্ড পতন হয়েছে।
এদিন ডলারের সাপেক্ষে ভারতীয় রুপির বিনিময় মূল্য কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪.১৭ রুপিতে, যা গত ১৭ মাসে সর্বনিম্ন। গত কয়েকদিন ধরেই বিশ্ববাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ভারতের শেয়ারবাজারেও পতন দেখা গিয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সেই পতন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। প্রায় সব সেক্টরের শেয়ার দর ৫২ সপ্তাহে সবচেয়ে নীচে পৌঁছেছে। গত ২ মাসে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দরের পতন হয়েছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ১০ লক্ষ কোটি রুপির সম্পদ বাজার থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। করোনা নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই হু’র মহামারি ঘোষণায় অ্যান্টার্কটিকা বাদে বাকি ছ’টি মহাদেশেই আতঙ্ক আরও তীব্র হয়েছে। ইউরোপীয়দের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের উপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতও ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত পর্যটক ভিসা বাতিল করেছে। এই সব কিছুর মিলিত ধাক্কায় বৃহস্পতিবার সকালে বাজার খুলতেই সেনসেক্স দেড় হাজার পয়েন্ট নেমে গিয়েছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই পতন পৌঁছে গিয়েছে ২৬০০ পয়েন্টের কাছাকাছি। নিফটিও  সাড়ে ছয়শোরও বেশি পয়েন্ট নীচে নেমে পৌঁছেছে ৯৭০০ পয়েন্টেরও নীচে। গত দু’বছরে ১০ হাজারের নীচে নামেনি নিফটি। শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা আতঙ্কে লগ্নিকারীদের শেয়ার বিক্রির জেরেই এই পতন। ক্রমাগত বাজার থেকে লগ্নি তুলে নিচ্ছেন বিদেশি লগ্নিকারীরাও। গত মাসে যেখানে বিদেশি লগ্নিকারীরা ৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এশীয় ইকুইটি বিক্রি করেছিল, সেখানে মঙ্গলবার পর্যন্ত তারা ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ইকুইটি বিক্রি করে ফেলেছে। এই পতন কোথায় গিয়ে থামবে, বিশেষজ্ঞরাও কেউ তা আঁচ করতে পারছেন না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর