করোনা আপডেট
কাতারে অভিবাসী শ্রমিকসহ সবার সুরক্ষার প্রত্যয় ঘোষণা
মানবজমিন ডেস্ক
২০২০-০৩-২২
করোনা সঙ্কট মোকাবিলা নিয়ে মানবাধিকার বিষয়ক অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সমালোচনার একদিন পর কাতার কর্তৃপক্ষ সব অধিবাসী ও ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া’ বা শিল্প এলাকায় সবাইকে সুরক্ষিত রাখার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে। কাতারে এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তার মধ্যে বেশির ভাগই ওই শিল্প এলাকায়। আর এই শিল্প এলাকায় অবস্থান করেন বাংলাদেশি সহ বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার শ্রমিক। তারা কাতারের বিভিন্ন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। এর মধ্যে এক বাংলাদেশির বয়ান নিয়ে শনিবার অনলাইন মানবজমিনে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, শ্রমিকদের আশ্রয়শিবির ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। সেখানকার পরিবেশ নোংরা। গাদাগাদি করে অবস্থান করেন শ্রমিকরা। এমন অবস্থায় তারা তাদের আশ্রয়শিবিরকে জেলখানার সঙ্গে তুলনা করেছেন। কারণ, তাদেরকে সেখানে লকডাউন বা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। অনলাইন আল জাজিরা লিখেছে, শনিবার কাতার সরকার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বরা হয়েছে, দেশে বসবাসকারীদের কল্যাণ ও মেডিকেল সেবা নিশ্চিত করতে নিয়োগকারীদের সঙ্গে সরকার ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। কাতার সরকারের যোগাযোগ বিষয়ক অফিস থেকে আল জাজিরাকে বলা হয়েছে, কোয়ারেন্টিন এলাকা বা অবরুদ্ধে এলাকায় ব্যক্তিবিশেষকে দেখেছেন চিকিৎসক ও মেডিকেল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা তাদের নিয়মিত পরীক্ষা করছেন এবং পর্যবেক্ষণ করছেন। যাদের দেহে করোনার লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে বা যাদের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ছে তাদেরকে নিবিড় মেডিকেল নজরদারিতে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অবস্থার সমালোচনা করে। তাতে বলা হয়, কাতারে অভিবাসী শ্রমিকরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে। কারণ, তা অতি মাত্রায় গাদাগাদি। পানির পর্যাপ্ততা নেই সেখানে। নেই পয়ঃনিষ্কাশন। এর অর্থ হলো এই ভাইরাস থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম নন শ্রমিকরা। এ ছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার যে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, এমন গাদাগাদি ক্যাম্পে তা করা সম্ভব নয়।
এর আগে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অবস্থার সমালোচনা করে। তাতে বলা হয়, কাতারে অভিবাসী শ্রমিকরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে। কারণ, তা অতি মাত্রায় গাদাগাদি। পানির পর্যাপ্ততা নেই সেখানে। নেই পয়ঃনিষ্কাশন। এর অর্থ হলো এই ভাইরাস থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম নন শ্রমিকরা। এ ছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার যে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, এমন গাদাগাদি ক্যাম্পে তা করা সম্ভব নয়।