প্রথম পাতা

গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুর লকডাউন, নাটোরে কারাগারে হুলস্থুল

বাংলারজমিন ডেস্ক

২০২০-০৩-২৩

করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুরকে লকডাউন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছে লকডাউন ঘোষণা করার। অন্যদিকে নাটোর কারাগারে এক হাজতির করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হুলস্থূল কাণ্ড ঘটেছে।
উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দুই যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুরকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে জেলা প্রশাসক লকডাউন ঘোষণার অনুমতি দেননি। গতকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নবী নেওয়াজ স্বাক্ষরিত একটি আবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুর উপজেলার নয় নম্বর বনগ্রাম ইউনিয়নের হাবিবুল্লাপুর গ্রামের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেন করোনায় আক্রান্ত দুই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। রোববার তাদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ওই বিয়ে অনুষ্ঠানে উপজেলার পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় পুরো উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হোক। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত লকডাউন যেন বলবৎ থাকে। এ সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবে না।
নাটোর প্রতিনিধি জানান, নাটোর জেলা কারাগারের এক কয়েদির শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। কারা হাসপাতালের আইসোলেশন বেডে ভর্তি থাকা ওই কয়েদিকে চিকিৎসা দেয়ার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই কারা কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ ওই হাজতির জামিন মঞ্জুর করলে তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
নাটোর জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, সদর থানার একটি মারামারি মামলার আসামি এই কয়েদি পাঁচ দিন আগে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, মাথাব্যথায় আক্রান্ত হন। তাকে কারাগারের ভেতরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সুস্থ হচ্ছেন না। বরং রোববার সকালে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। তার শরীরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গগুলো স্পষ্ট। গতকাল সকাল ১০টায় ওই কয়েদিকে কারা হাসপাতালের আইসোলেশন বেডে স্থানান্তর করা হয়। জেল সুপার বিষয়টি জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার, সরকারি কৌঁসুলি ও সংশ্লিষ্ট বিচারককে অবহিত করেন। বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে তারা আলাপ করেন। আপাতত ওই আসামিকে জামিনে মুক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে পুলিশ হেফাজতে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। জেল সুপার আবদুল বারেক বলেন, ওই কয়েদিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। তার অসুস্থতা দেখে কারা হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধারণা, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে তার সুরক্ষার পাশাপাশি কারাগারের অন্য কয়েদি ও কারাকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। দ্রুত করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা করানো দরকার তার। তা না হলে সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হবে। জেলা সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনা জানার পর তারা রোগীকে আপাতত হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার কোভিড-১৯ পরীক্ষার পর চিকিৎসা নিয়ে কাজ করা হবে। একই সঙ্গে কারাগার সংশ্লিষ্টদের কোয়ারেন্টিনের বিষয়েও ভাবা হবে।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status