প্রথম পাতা
দুই হাসপাতাল লকডাউন, ১০ বাড়ি নজরদারিতে
ভৈরবে ইতালি ফেরত ব্যক্তির মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
২০২০-০৩-২৪
ভৈরবে ৬০ বছর বয়সী ইতালি ফেরত এক ব্যক্তি মারা গেছেন। রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে ভৈরব শহরের সাঈদ ইউসুফ মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে তাকে শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকার আবেদীন হাসপাতাল (প্রা.) নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে সরকারি আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। ইতালি ফেরত ওই ব্যক্তি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। করোনা ভাইরাস সন্দেহে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে আইইডিসিআর। সোমবার সকালে ঢাকা থেকে আইইডিসিআর এর লোকজন ভৈরবে এসে মৃতদেহ থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। এ ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতাল দু’টি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে এবং মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়িসহ আশেপাশের ১০টি বাড়ি বিশেষ নজরদারীতে রাখা হয়েছে। এছাড়া ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা ছিলেন তাদের তালিকা করা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, ওই ব্যক্তি গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি ইতালি থেকে দেশে ফিরেন। ৩/৪ দিন ধরে তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। কিন্তু কোথাও তিনি চিকিৎসা নেননি। রোববার রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে আবেদীন হাসপাতাল (প্রা.) নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে সাঈদ ইউসুফ মেমোরিয়াল হাসপাতালে নামে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃত ব্যক্তি ইতালি ফেরত হওয়ায় এবং তার মধ্যে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ কারণে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে আইইডিসিআর। পরীক্ষার পর করোনা ভাইরাসের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মারা যাওয়া ইতালি ফেরত ব্যক্তির বাড়ি ভৈরব পৌর শহরের জগন্নাথপুর এলাকায়। তিনি গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি ইতালি থেকে দেশে ফিরেছিলেন। তার নাম কোয়ারেন্টিন তালিকায় ছিলো না। তিনি নিজেও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা বা উপজেলা পর্যায়ে গঠিত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির কারো সাথে যোগাযোগ করেননি। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করেছেন। মসজিদে গেছেন, বাজারে গেছেন, সবার সাথে মিশেছেন। এমনকি তিনি তার শ্বশুরবাড়ি পার্শ্ববর্তী চণ্ডিবের এলাকায় বেড়াতেও গেছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে ওই ব্যক্তি ইতালিতে যান। পরে তিনি তার দুই ছেলেকেও ইতালি নিয়ে যান। বর্তমানে তার দুই ছেলে ইতালিতে থাকলেও ইতালিতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেন।
রোববার রাত সোয়া ১০টার দিকে ইতালি ফেরত ব্যক্তিকে তার স্বজনরা করোনার উপসর্গ নিয়ে শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকার আবেদীন হাসপাতাল (প্রা.) এ নিয়ে গেলে চিকিৎসক সরকারি আইসোলেশন সেন্টারে যেতে বলেন। কিন্তু তার স্বজনরা তাকে সেখানে না নিয়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে শহরের কমলপুর এলাকার ডক্টরস চেম্বার নামে পরিচিত সাঈদ ইউসুফ মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই বিষয়ে আবেদীন হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মো. শাহজালাল জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রচণ্ড জ্বর, গলা ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে আব্দুল খালেক নামে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে আসেন। আমরা তখন তাকে সরকারি আইসোলেশন সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেই।
করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ভৈরবের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিমাদ্রী খিসা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ ও ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার মারা যাওয়া ব্যক্তির এলাকায় যান। এ সময় তারা সবাইকে নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করার নির্দেশনা দেন এবং মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের ১০টি বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করে বিশেষ নজরদারিতে নেয়া হয়। এছাড়া দুই বেসরকারি হাসপাতালে যাঁরা কর্মরত ছিলেন, তাঁদের হাসপাতালের ভেতরেই অবস্থান করতে বলা হয়। পরে হাসপাতাল দু’টি লকডাউন করে দেয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই ব্যক্তি আমাদের তালিকার বাইরে ছিলেন। জেনেছি, তিনি নিজে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জেনেছি, তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিলো। আইইডিসিআর তার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে।’
এদিকে, আইইডিসিআর এর লোকজন নমুনা সংগ্রহের পর বাড়ির কয়েকজনের অংশগ্রহণে জানাজা শেষে বেলা দেড়টার দিকে ভৈরব পৌর কবরস্থানে বিশেষ ব্যবস্থায় লাশ দাফন করা হয়।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, ওই ব্যক্তি গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি ইতালি থেকে দেশে ফিরেন। ৩/৪ দিন ধরে তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। কিন্তু কোথাও তিনি চিকিৎসা নেননি। রোববার রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে আবেদীন হাসপাতাল (প্রা.) নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে সাঈদ ইউসুফ মেমোরিয়াল হাসপাতালে নামে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃত ব্যক্তি ইতালি ফেরত হওয়ায় এবং তার মধ্যে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ কারণে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে আইইডিসিআর। পরীক্ষার পর করোনা ভাইরাসের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মারা যাওয়া ইতালি ফেরত ব্যক্তির বাড়ি ভৈরব পৌর শহরের জগন্নাথপুর এলাকায়। তিনি গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি ইতালি থেকে দেশে ফিরেছিলেন। তার নাম কোয়ারেন্টিন তালিকায় ছিলো না। তিনি নিজেও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা বা উপজেলা পর্যায়ে গঠিত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির কারো সাথে যোগাযোগ করেননি। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করেছেন। মসজিদে গেছেন, বাজারে গেছেন, সবার সাথে মিশেছেন। এমনকি তিনি তার শ্বশুরবাড়ি পার্শ্ববর্তী চণ্ডিবের এলাকায় বেড়াতেও গেছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে ওই ব্যক্তি ইতালিতে যান। পরে তিনি তার দুই ছেলেকেও ইতালি নিয়ে যান। বর্তমানে তার দুই ছেলে ইতালিতে থাকলেও ইতালিতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেন।
রোববার রাত সোয়া ১০টার দিকে ইতালি ফেরত ব্যক্তিকে তার স্বজনরা করোনার উপসর্গ নিয়ে শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকার আবেদীন হাসপাতাল (প্রা.) এ নিয়ে গেলে চিকিৎসক সরকারি আইসোলেশন সেন্টারে যেতে বলেন। কিন্তু তার স্বজনরা তাকে সেখানে না নিয়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে শহরের কমলপুর এলাকার ডক্টরস চেম্বার নামে পরিচিত সাঈদ ইউসুফ মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই বিষয়ে আবেদীন হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মো. শাহজালাল জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রচণ্ড জ্বর, গলা ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে আব্দুল খালেক নামে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে আসেন। আমরা তখন তাকে সরকারি আইসোলেশন সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেই।
করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ভৈরবের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিমাদ্রী খিসা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ ও ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার মারা যাওয়া ব্যক্তির এলাকায় যান। এ সময় তারা সবাইকে নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করার নির্দেশনা দেন এবং মৃত ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের ১০টি বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করে বিশেষ নজরদারিতে নেয়া হয়। এছাড়া দুই বেসরকারি হাসপাতালে যাঁরা কর্মরত ছিলেন, তাঁদের হাসপাতালের ভেতরেই অবস্থান করতে বলা হয়। পরে হাসপাতাল দু’টি লকডাউন করে দেয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই ব্যক্তি আমাদের তালিকার বাইরে ছিলেন। জেনেছি, তিনি নিজে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জেনেছি, তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিলো। আইইডিসিআর তার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে।’
এদিকে, আইইডিসিআর এর লোকজন নমুনা সংগ্রহের পর বাড়ির কয়েকজনের অংশগ্রহণে জানাজা শেষে বেলা দেড়টার দিকে ভৈরব পৌর কবরস্থানে বিশেষ ব্যবস্থায় লাশ দাফন করা হয়।