বাংলারজমিন
ভাঙ্গুড়ায় মেডিকেল অফিসারদের চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগী
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
২০২০-০৩-২৭
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ডাক্তাররা নিজ নিজ কক্ষ ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার তারা বহির্বিভাগে ঠিকমতো রোগীদের পরামর্শ না দেয়ায় ফিরে গেছেন অনেক রোগী। তবে ডাক্তাররা জানিয়েছেন দেশে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় তারা রোগী দেখা কমিয়ে দিয়েছেন।
গত বুধবার সকাল ১১টার দিকে গিয়ে দেখা যায় সকল মেডিকেল অফিসারের চেয়ার শূন্য তারা কেউই তাদের কক্ষে নেই। রোগীদের প্রচুর ভিড়। তবে এ সময় উপ- সহকারী মেডিকেল অফিসারদের চিকিৎসা দিতে দেখা যায়। রোগীরা চিকিৎসকদের খোঁজ করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় তারা মিটিংয়ে রয়েছে। ফলে রোগীরা বাধ্য হয়ে উপ- সহকারী মেডিকেল অফিসারদের নিকট চিকিৎসা নিচ্ছে। বর্তমানে উপজেলায় মোট ২২ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এছাড়া হাসপাতালে আইসোলেশনের জন্য চারটি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গতকাল স্বাধীনতা দিবসের কারণে বহির্বিভাগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার বলেন, করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই মেডিকেল অফিসাররা রোগী দেখতে অনীহা প্রকাশ করছেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারদের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এতে তাদের ওপর রোগীদের প্রচণ্ড চাপ পড়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে মেডিকেল অফিসারদের না পেয়ে ক্ষোভে এক রোগী বলেন, গত দুইদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি। কিন্তু কোনো ডাক্তারকে পাইনি। শুনেছি তারা নাকি মিটিংয়ে ব্যস্ত। তাই পরে উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারকে দিয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, বর্তমানে চিকিৎসকরা নিজেদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিজেদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি না থাকায় চিকিৎসকরা রোগী দেখতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবে অসুস্থ ব্যক্তিদের আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সর্দি-জ্বরের রোগীদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ফোনে জানিয়ে তারপরে আসতে বলা হয়েছে।
গত বুধবার সকাল ১১টার দিকে গিয়ে দেখা যায় সকল মেডিকেল অফিসারের চেয়ার শূন্য তারা কেউই তাদের কক্ষে নেই। রোগীদের প্রচুর ভিড়। তবে এ সময় উপ- সহকারী মেডিকেল অফিসারদের চিকিৎসা দিতে দেখা যায়। রোগীরা চিকিৎসকদের খোঁজ করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় তারা মিটিংয়ে রয়েছে। ফলে রোগীরা বাধ্য হয়ে উপ- সহকারী মেডিকেল অফিসারদের নিকট চিকিৎসা নিচ্ছে। বর্তমানে উপজেলায় মোট ২২ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এছাড়া হাসপাতালে আইসোলেশনের জন্য চারটি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গতকাল স্বাধীনতা দিবসের কারণে বহির্বিভাগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার বলেন, করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই মেডিকেল অফিসাররা রোগী দেখতে অনীহা প্রকাশ করছেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারদের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এতে তাদের ওপর রোগীদের প্রচণ্ড চাপ পড়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে মেডিকেল অফিসারদের না পেয়ে ক্ষোভে এক রোগী বলেন, গত দুইদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি। কিন্তু কোনো ডাক্তারকে পাইনি। শুনেছি তারা নাকি মিটিংয়ে ব্যস্ত। তাই পরে উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারকে দিয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, বর্তমানে চিকিৎসকরা নিজেদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিজেদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি না থাকায় চিকিৎসকরা রোগী দেখতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবে অসুস্থ ব্যক্তিদের আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সর্দি-জ্বরের রোগীদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ফোনে জানিয়ে তারপরে আসতে বলা হয়েছে।