ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে উপজেলায় ওষুধ, মুদি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়ায় বেশির ভাগ দোকান বন্ধ দেখা গিয়েছে। যান চলাচল বন্ধও রয়েছে নির্দেশনা। যে কারণে রাস্তাঘাটে পরিবহন চলাচল খুবই কম। জনসমাগম এড়াতে জনসাধারণকে মাইকিং করে সতর্ক করেছে প্রশাসন। ইজিবাইকসহ সব ধরনের যানবাহন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার শহীদুল ইসলাম জানান, করোনা প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি নিজেরা সচেতন হতে হবে বলে মনে করেন। গত ২৫ দিনে নবাবগঞ্জে ৫২০ জনের মধ্যে ৩২৩ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তাদের দেখভাল করছেন ৪২ জন স্বাস্থ্যকর্মী এর পাশাপাশি উপজেলা প্রসাশন, থানা পুলিশ নজরদারির কারণে রাস্তায় চলাচলে তেমন লোক দেখতে পাওয়া যায় না। এতে করোনা আতঙ্ক কিংবা আক্রমের পরিমাণ কম হওয়ার সম্ভবনা কমে আসবে।
সচেতনার বিকল্প নাই। তবে আইসোলেশন রুম করায় কিছু বেড জরুরি ভিত্তি রাখতে হয়েছে। সরকারি হাসপাতাল অনেকটাই খালি পরে রয়েছে। হাসপাতাল সহ প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে সাধারণ রোগী কমে গেছে। স্থানীয় এমপি সালমান এফ রহমান ও স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব এই এলাকায় থাকায় তারাও নজরদারি করছেন বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরো জানান।
নবাবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার এইচএম সালাউদ্দিন মনজু বলেন, যে কোনো অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। জনগণ সচেতন না হলে প্রশাসনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। যখন যেখানে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোক জনসম্মুখে চলাচলের খবর পাচ্ছি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। লোক সমাগম বেশি না হয় বিয়ে সাদীসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আইন না মানলে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টেও মাধ্যমে ব্যবস্থা রয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল বলেন, কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের পুলিশ নজরদারিতে রেখেছি। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধেও এ নিয়ে কেউ গুজব ছড়ালে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার সড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা দেখা গিয়েছে। নবাবগঞ্জ উপজেলার নবাবগঞ্জ, বান্দুরা, বারুয়াখালী, ঘোষাইল, দাউদপুর, শোল্লা, নয়নশ্রী এবং দোহার উপজেলার বিভিন্নœ এলাকায় ঘুরে সুনশান নীরবতা দেখা গিয়েছে। বারুয়াখালী ও দাউদপুরের হাট-বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনসমাগম ছিল অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক কম। বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল বন্ধ। সড়কে যানবাহন বলতে মাঝে মাঝে দুই একটা ইজিবাইক চলতে দেখা গিয়েছে। যান চলাচল বন্ধ থাকলেও অফিস খোলা থাকায় যানবাহন না পেয়ে বিপাকে পড়েন চাকরিজীবীরা। প্রশাসনের নির্দেশ মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।