× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গোপালগঞ্জে জীবিকার তাগিদে মাঠে শ্রমজীবীরা

বাংলারজমিন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
২৭ মার্চ ২০২০, শুক্রবার

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মানুষ ঘরে থেকে সহায়তা করলে গোপালগঞ্জের মানুষের কোনো প্রকার খাদ্যের অভাবসহ কোনো অভাবে পড়তে হবে না- বললেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। কেউ খাদ্যের অভাবে থাকলে বা অন্য কোনো সমস্যায় থাকলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে তিন চাকার যানবাহনে ওভার লোড ও চলাচল বন্ধ না হলে ব্যাপকভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন। করোনা আতঙ্কে এরই মধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন অনেক রোগী, খালি পড়ে আছে হাসপাতালের বেডগুলো। আর মৃত্যুকে উপেক্ষা করে পেটের দায়ে রাস্তায় নেমেছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো, বলছেন রিকশা ভা্যান ইজিবাইক না চালালে কি খাবেন তারা। সংশয়ে দিন কাটছে এই সব খেটে খাওয়া নারী-পুরুষ শ্রমীকদের। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে এমন ভয় উপেক্ষা করে গোপালগঞ্জে পেটের দায়ে রাস্তায় নেমেছেন দিনমুজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো। দোকান পাটেও ভিড় কম নয়, একেবারেই অসচেতন ভাবে জমায়াত হচ্ছে মানুষেরা।
তারা বলছেন রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক না চালালে খাবার পাবেন কোথায়, এছাড়া রয়েছে কিস্তির চিন্তাও- তাই মৃত্যুর ভয় উপেক্ষা করে খাবার সংগ্রহ করতে গণলাইনে দাঁড়াতেও দ্বিধা করছেন এই নারী ও পুরুষেরা। তিন চাকার যানবাহনগুলোতে ওভার লোড করে দেয়া হচ্ছে যাত্রীসেবা। সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ বলছেন, কোনো মানুষের মাধ্যমে যাতে করোনা ভাইরাসে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে, মানুষের দূরত্ব বজায় থাকলে করোনা ছড়াতে পারবে না, যদি তিন চাকার যানবাহন এভাবে চলতে থাকে তাহলে ব্যাপকভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়বে। অন্যদিকে, গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মাদ বলেছেন, করোনা আতঙ্কে হাসপাতালে থাকছে না রোগীরা। এরই মধ্যে হাসপাতালের বেশির ভাগ বেডই খালি হয়ে গেছে। অপরদিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়ন উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মো. দ্বীন ইসলাম মোল্লা জঈন ও সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরদার তার কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিদিন শত শত নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষদের মধ্যে মাস্ক/ হ্যান্ড ওয়াস ও সাবান বিনামূল্যে বিতরণ করছেন। কেউ যাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হন এ জন্য সচেতন করছেন মানুষকে। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে মানুষকে ঘরে থাকতে হবে, এর জন্য যা যা করণীয় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তাই করা হবে, এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর সাহায্য নেয়া হয়েছে। তিন চাকার যানবাহনগুলো চলাচল বন্ধ করতে মাঠে নেমেছেন তারা। এছাড়া সরকারের নির্দেশ মেনে যেসব দরিদ্র মানুষ ঘরে থাকবে তাদের খাদ্যের অভাবে পড়তে হবে না, সরকার এই বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তা করছে। পুলিশ সুপার মুহম্মদ সাইদুর রহমান বলেছেন. করোনা ভাইরাসে কেউ যাতে আক্রান্ত না হন সে জন্যই মানুষকে কয়েকদিন ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। জরুরি কোনো কাজ ছাড়া কেউ যাতে ঘর থেকে বাইরে না যান সে জন্য পুলিশ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর