বৃটেনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত একদিনে শতাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭৮ জনে। দেশটিতে ভাইরাসটির সংক্রমণের পর থেকে এটাই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। একইসঙ্গে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যাও। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬৫৮ জনে। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা (এনএইচএস) ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মৃত্যুর খবর দেয়ার ধরণে পরিবর্তন দেখা গেছে। বুধবার মাত্র আট ঘণ্টায় ঘটা মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। বৃহস্পতিবার বিগত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়।
ইংল্যান্ডে করোনার প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে লন্ডনে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, শহরটির হাসপাতালগুলোয় করোনা ভাইরাসের ‘সুনামি’ চলছে। শেষ হয়ে যাচ্ছে আইসিইউ বেড। ইংল্যান্ডের হাসপাতালগুলোর প্রতিনিধি এনএইচএস প্রোভাইডার্সের ক্রিস হপসন বলেন, হাসপাতালগুলোতে জরুরি সেবাদানের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু লন্ডন এর আগে কখনো এ সেবার এমন চাহিদা দেখেনি। পুরো বৃটেনের এক-তৃতীয়াংশ আক্রান্ত লন্ডনবাসী।
এদিকে, দেশটিতে ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। জারি করা হয়েছে লকডাউন। লকডাউন অমান্যকারীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন দেশটির রাজসিংহাসনের আপাত উত্তরাধিকারী ও রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বড় সন্তান প্রিন্স চার্লস।