করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, প্রয়োজন ব্যতীত ঘর থেকে বের না হওয়ার পাশাপাশি মাস্ক এবং হ্যান্ড গ্লোভস ব্যবহার করা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘনঘন দুই হাত পরিস্কার রাখা অত্যাবশীয় হলেও মির্জাগঞ্জে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। হাতে গোনা দুই একটি ফার্মেসীতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যতীত মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লোভস পাওয়া গেলেও তা প্রকৃত মূল্যের কয়েকগুন বেশী মূল্য দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন বলে ক্রেতাদের।
জানা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বর্তমানে কোন প্রতিষেধক বাজারে না আসায় চিকিৎসকদের পরামর্শ মোতাবেক মাস্ক এবং হ্যান্ড গ্লোভস ব্যবহার করা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন দুই হাত পরিস্কার রাখা একমাত্র প্রতিরোধের উপায়। চিকিৎসকের পরামর্শনুযায়ী সাধারন মানুষ এসব উপকরন কিনতে ফার্মেসীগুলোতে গেলেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার না পেয়ে মুদি দোকানগুলোতে স্যাভলন বা ডেটল লিকুইড কিনতে গিয়েও না পেয়ে খালি হাতে বাড়িতে ফিরছেন।কিছু ফার্মেসীতে মাস্ক ও গ্লোভস পাওয়া গেলেও তা চড়া মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সাধারন মানুষের । গতকাল শুক্রবার উপজেলার সুবিদখালী বাজার ও সরকারী সুবিদখালী কলেজ সংলগ্ন বাস ষ্ট্যান্ড এলাকার ফার্মেসীগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে এসকল উপকরন সমূহের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। বিক্রেতারা জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চিকিৎসকরা এসকল উপকরন ব্যবহারের পরামর্শ দেয়ার পরপরই একেক জন ক্রেতা৪-৬টি করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনে নেওয়ার কারনে তীব্র সংকট দেয়া দিয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুতকারী বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীতে অর্ডার দিলেও কোম্পানীগুলো থেকে উৎপাদন বন্ধ থাকার অজুহাত দেখিয়ে সরবরাহ করছে না বলে বিক্রেতারা জানান। ১০ টাকা মূল্যের ওয়ানটাইম সার্জিক্যাল মাস্ক ২৫-৩০ টাকা,২০-২৫ টাকা মূল্যের এয়ার ফিল্টার যুক্ত কাপড়ের মাস্ক ৬০-৭০টাকা এবং ২০টাকা মূল্যের সার্জিক্যাল গ্লোভস (এক জোড়া) ৪০-৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।।