দিনে দিনে কমছে করিম বেনজেমার পায়ের ধার। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তো গত মৌসুমেই বার্নাব্যু ছেড়েছেন। রিয়াল মাদ্রিদ স্কোয়াডে একজন ভালোমানের সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড খুব দরকার এখন। সেক্ষেত্রে পারফেক্ট চয়েস হতে পারেন নরওয়েজিয়ান সেনসেশন আরলিং ব্রট হালান্দ। বুন্দেসলিগা জায়ান্ট বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন ১৯ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকার। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কার স্টাফ রিপোর্টার কার্লোস গঞ্জালেস মনে করেন পাঁচটি কারণে আগামী ট্রান্সফার উইন্ডোতে হালান্দকে কেনা উচিত রিয়াল মাদ্রিদের।
১. গোল মেশিন
চলতি মৌসুমে রেড বুল সালজবুর্গ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে ক্লাব পর্যায়ে ৪০ গোল করেছেন হালান্দ। অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে নরওয়ের হয়ে এক ম্যাচেই ৯ গোল করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। ডিবক্সে হালান্দ এক নিখুঁত শিকারি।
২. তরুণ ও ক্ষুধার্ত
‘নতুন ইব্রা’ খেতাব পাওয়া হালান্দের বয়স মাত্র ১৯ বছর। এ বয়সেই সে যা দেখাচ্ছে তা অভূতপূর্ব। গোলের জন্য ক্ষুধার্ত এক ফুটবলার সে। জার্মানিতে যাওয়ার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে সেটা।
৩. অপেক্ষাকৃত কম মার্কেট ভ্যালু
২০ মিলিয়ন ইউরোর মধ্যেই সালজবুর্গ থেকে হালান্দকে দলে নিয়েছে ডর্টমুন্ড। নেইমার-এমবাপ্পের মতো ফুটবলারের বাজার দর অনেক বেশি। ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট ট্রান্সফারমার্কেটের মতে এমবাপ্পের বর্তমান মূল্য ২০০ মিলিয়ন ইউরো, নেইমারের ১৬০ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু হালান্দের রিলিজ ক্লজ মাত্র ৭৫ মিলিয়ন ইউরো। ফলে তাকে দলে নেয়াটাই বেশি সহজ ও লাভজনক হবে রিয়ালের জন্য।
৪. চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ১০ গোল
কেবল ঘরোয়া লীগ নয়, হালান্দ সফল ইউরোপসেরার মঞ্চ চ্যাম্পিয়ন্স লীগেও। চলতি মৌসুমে সালজবুর্গ ও ডর্টমুন্ডের জার্সিতে তিনি ১০ গোল করেছেন এলিট এই টুর্নামেন্টে। তার চেয়ে বেশি গোল রয়েছে শুধু বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানদোস্কির। মেসি, রোনালদো, নেইমার, এমবাপ্পে সবাই হালান্দের পেছনে।
৫. এমবাপ্পে-হালান্দ ঝামেলা ছাড়াই খেলতে পারবেন একসঙ্গে
রাইট উইংগার এমবাপ্পে ও সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড হালান্দ দুজনই একসঙ্গে খেলতে পারবেন রিয়ালে। এতে তাদের আক্রমণভাগ হয়ে উঠবে আরো ভয়ঙ্কর।