× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পাশের বাড়ির এমপিরা সেলফ ডোনেশনে

করোনা আপডেট

নিজস্ব প্রতিনিধি
২৭ মার্চ ২০২০, শুক্রবার

করোনা ভাইরাসের কারণে সঙ্কটে থাকা বিশেষ করে নিম্ন আয়ের এবং দিন মজুরদের পাশে দাড়াচ্ছেন বিত্তবানরা। উপমহাদেশে এক্ষেত্রে এপর্যন্ত রোল মডেল হলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকগণ। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিআইএম–এর সাংসদ ও বিধায়করা বিশেষভাবে এগিয়ে এসেছেন। অবশ্য বাংলাদেশি সংসদ সদস্যদের তরফে এধরণের পদক্ষেপ নেয়ার তথ্য এখনও জানা যায়নি।

করোনা পরিস্থিতিতে গরিব মানুষদের খাবার দেয়ার ক্ষেত্রে ক্রিকেট তারকা সৌরভ গাঙ্গুলী এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটার টার্নড মাশরাফির পদক্ষেপ অভিন্ন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোশনের বিদায়ী মেয়র সাঈদ খোকন করোনা পরিস্থিতিতে ৫০ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের জন্য এক মাসের খাবার দেবেন। কাল শনিবার থেকে শুরু হবে বিতরণ। শুক্রবার (২৭শে মার্চ) বিকালে নগরীর গুলিস্তান এলাকায় জীবাণুনাশক ছিটানোর গাড়ি পরিদর্শনকলে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এ সময় উপস্থিত শতাধিক রিকশাচালক ও খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করেন তিনি।

উপ মহাদেশের সর্বত্রই নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য বিশেষ সাহায্যে নানা সৃজনশীল উদ্যোগ নেয়ার খবর মিলছে।

এক কোটি মানুষকে চার মাসের সহায়তা হিসেবে প্রত্যেককে এককালীন ১২ হাজার টাকা করে দেবে পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার।

পাশের বাড়িতে সেলফ ডোনেশন

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় পশ্চিমবঙ্গের সংসদ সদস্যগণ শুধু সেলফ কোয়ারেন্টিনে নেই। তারা এখন সেলফ ডোনেশনে নেমেছেন। জমা দেয়া টাকার পরিমাণ ইতিমধ্যে ১৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিআইএম ও বিজেপি সক্রিয়। সাংসদদের নিজেদের উন্নয়ন তহবিল ও ব্যক্তিগত ফান্ড এই অনুদানের উৎস। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও বেঙ্গল এবিপি লাইভ।
মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল যুব কংগ্রেস গত বুধবার দিল এক কোটি টাকা।
সেলিব্রিটিরাও বসে নেই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যেমন বুধবারই ঘোষণা করেছেন যে, লকডাউনের সময় দুঃস্থদের অন্ন সংস্থানের জন্য একটি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার চাল দেবেন। এছাড়া রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে ২৫ লক্ষ টাকা দিচ্ছে রাজ্য ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা সিএবি। সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়াও দিয়েছেন ৫ লক্ষ টাকা অনুদান।
বিজেপির ১৪ জন সাংসদ ও একজন বিধায়ক নিজেদের উন্নয়ন তহবিল থেকে মোট ১০কোটি ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে। ইতিমধ্যে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান জেলাশাসককে অর্থ প্রদানের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। আব্দুল মান্নান বলেন, “লিখিত ভাবে এখন বিধানসভায় কংগ্রেসের ৩৯ জন বিধায়ক রয়েছেন।” প্রত্য়েকের কাছেই আবেদন রেখেছি ১০ লাখ টাকা করে দিতে। তাহলে কংগ্রেসের পরিমাণ দাড়াবে প্রায় চার কোটি।
বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া তার উন্নয়ন তহবিল থেকেই দেন ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। সিপিএমের বিধায়করা দিয়েছেন আড়াই কোটি টাকার ওপর। রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়করা দিচ্ছেন ১ লাখ টাকা করে। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন ১ কোটি টাকা।
বঙ্গ বিজেপির হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বাঁকুড়ার সুভাষ সরকার, বনগাঁর শান্তনু ঠাকুর এমপি তহবিল থেকে ১ কোটি করে টাকা দিয়েছেন। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ৮০ লক্ষ, মালদা উত্তরের খগেন মুর্মু ৭০ লক্ষ টাকা। এছাড়া ঝাড়গামের কুনার হেমব্রম , পুরুলিয়ার জ্যোতির্ময় মাহাতো, কোচবিহারের নিশীথ প্রামানিক, আলিপুরদুয়ারের জন বার্লা, দার্জিলিংয়ের রাজু বিস্তা, রায়গঞ্জের দেবশ্রী চৌধুরী এবং জলপাইগুড়ির জয়ন্ত রায় দিয়েছেন ৫০ লাখ টাকা । বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ৩০ লক্ষ, দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ জিম্বা তামাং ২০ লক্ষ।
সিপিএমের ২৮ জন বিধায়ক ১০ লক্ষ টাকা করে দিচ্ছেন করোনা মোকাবিলায়। বৃহস্পতিবার দলের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বিধায়কদের কাছে আবেদন করেছিলাম করোনা প্রতিরোধে উন্নয়ন তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে অর্থ প্রদান করতে।"

উল্লেখ্য, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজার ক্রিকেট খেলার অর্থ দিয়ে নড়াইলের ১২শ' হতদরিদ্র পরিবারের খাদ্য সহায়তা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া তামিম-মুশফিকরাও ৩১ লাখ টাকার করোনা অনুদান ঘোষণা করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর