× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাগেরহাটে জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে আইসোলেশনে নারী

বাংলারজমিন

বাগেরহাট প্রতিনিধি
২৮ মার্চ ২০২০, শনিবার

বাগেরহাটে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে সদর হাসপাতালে ২৬ বছর বয়সী এক নারীকে আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জ্বর, সর্দি ও কাশি আক্রান্ত ওই নারীকে দ্রুত সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে নেয়া হয়। অসুস্থ ওই নারীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে। এদিকে বাগেরহাট জেলায় করোনা আতংকে শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বের ৩৮টি দেশ থেকে বাড়ি ফেরা ৪ হাজার ২’শ প্রবাসীর মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৩৪৩ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। বাকী ৯১০ জনের হোম কোয়ারেন্টিনের নির্ধারিত সময় পূর্ণ হওয়ায় সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন। তবে  কোয়ারেন্টিন না করা ২ হাজার ৮৫৭ জন প্রবাসীকে বাড়ীতে বাড়ীতে খুঁজে ফিরছে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এসব প্রবাসীর বাড়ীতে টানানো হচ্ছে লাল নিশান। এই বিপুল সংখ্যক প্রবাসী কোয়ারেন্টিন না করায় জেলাজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির জানান, সর্দি, জ্বর ও কাশি নিয়ে ওই নারী হাসপাতালে আসলে তাকে দ্রুত আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। ওই নারী ১০দিন ধরে সর্দি, জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন এবং নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ওই নারীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে বাগেরহাটে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে শনিবার তৃতীয় দিনের মতো শহরগুলোর সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। লোকজন ঘর থেকে বের না হওয়ায় রাস্তাঘাট জনশুন্য রয়েছে। বাগেরহাট শহরসহ উপজেলা সদরে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশের কড়া নজরদারীরর মধ্যে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়েগেছে। বাগেরহাটের জলা সদরসহ উপজেলাগুলোতে ধরণের দোকানপাট বন্ধ বন্ধ রয়েছে। শুধু খোলা রয়েছে ওষুধ, জ্বালানী, মুদি, তরি তরকারীর ও মাছের দোকান। এসব দোকানে দড়ি বা ফিতা দিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা দূরত্ব তৈরী করা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া লোকজন তেমন একটা বের হচ্ছেন না। তবে, এর উল্টো চিত্র হচ্ছে গ্রামীন জনপদে। সেখানে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ছোট-ছোট বাজার, মোড়ে-মোড়ে চায়ের দোকানগুলোতে মনুষের জটলা লেগেই রয়েছে। বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, জেলা ও উপজেলা শহরগুরোতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশের কড়া নজরদারীরর মধ্যে ঘরে রাখা সম্ভব হয়েছে। কিছু কিছু গ্রামীন জনপদে লোকজন এখনো বাড়ী থেকে বের হয়ে স্থানীয় বাজারের চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছেন বলে খবর পাওয়ার সাথে-সাথেই পুলিশ সেখানে অভিযান চালাচ্ছে। আমি নিজে কান্দাপাড়া বাজারসহ বেশ কয়েটি গ্রামীন জনপদে লোকজনকে ধাওয়া দিয়ে বাড়ীতে পাঠিয়েছি। গ্রামীন জনপদের লোকজনতে ঘরবন্দি করতে পুলিশ কাজ করছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর