আগামী মাসের শুরুতেই তৃতীয় দফায় পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। সেখানে এক ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলার কথা ছিল টাইগারদের। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপে স্থগিত হয়ে গেছে সেই সফর। মে মাসে আয়ারল্যান্ড সফরও স্থগিত। আর জুনে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শঙ্কায়। কেউই বলতে পারছে না কবে স্বাভাবিক হবে ক্রীড়া দুনিয়া। সবার একটাই প্রার্থনা দ্রুত যেন বিপদমুক্ত হয় পৃথিবী। আপাতত বাংলাদেশের সব খেলা বন্ধ। তার ক্ষতি কি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব? সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান মনে করেন মোটেও সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট সিরিজ হয়তো সামনে আয়োজন করা যাবে। সবকিছু ঠিক হলে অনেক খেলাই খেলা যাবে। কিন্তু সময়ের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনোদিনও পুষিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। যে সিরিজগুলো স্থগিত হয়েছে কবে সেগুলো খেলা হবে তাও ভাবতে হবে। পর্যাপ্ত সময় পাবো কি না জানি না। ২০২৩ পর্যন্ত এফটিপি তৈরি। তার মাঝে নতুন সময় বের করে পুরানো সিরিজ আয়োজন কতটা সম্ভব, জানি না।’

এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বাংলাদেশের ৪৮ জন। বাংলাদেশ সরকার ৯ই এপ্রিল পর্যন্ত ঘোষণা করেছে সাধারণ ছুটি। পরিস্থিতি উন্নতি হলে হয়তো সে পর্যন্তই ছুটি থাকবে। তা না হলে আরো দীর্ঘ হতে পারে ছুটির ব্যাপ্তি। এ সময়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব ক্রিকেট বন্ধ। ক্রিকেটাররা রয়েছেন গৃহবন্দি। দেশের সব ক্রিকেটারদের প্রতি আকরাম খান অনুরোধ জানিয়েছেন, ঘরে থেকে নিজেদের ফিট রাখতে। তিনি বলেন, ‘আসলে যে পরিস্থিতি তাতে আমাদের প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছুই নেই। আমি দেশের প্রতিটি ক্রিকেটারকে অনুরোধ করবো সরকারের নির্দেশ মেনে ঘরে থাকুন। নিজেদের নিরাপদ রাখেন। ঘরে ফিটনেস ধরে রাখার কাজও করেন। আমরা সবাই সবার জন্য দোয়া চাই। যেন এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত মুক্তি পাই। ক্রিকেট আবার সুন্দরভাবে মাঠে ফিরুক।’