× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জামালপুর হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু নিয়ে আতঙ্ক

অনলাইন

জামালপুর প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) মার্চ ২৯, ২০২০, রবিবার, ২:৫৫ পূর্বাহ্ন

জামালপুরে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর স্বজনরা তাড়াহুড়ো করে মৃত দেহটি নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে। এরপর থেকে ওই রোগীকে সেবা প্রদান করা নার্সদের মধ্যে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করে। তবে ওই রোগী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা যাননি বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে জামালপুরে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৫৫ বছর বয়স্ক এক রোগীর মৃত্যু হয় । মৃত ব্যক্তির বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বিয়ারা পলাশতলা গ্রামে। গতকাল দুপুরে রোগীর স্বজনরা ডায়াবেটিসের কথা বলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. সৌমিত্র কুমার বণিক রোগীর শরীরের তাপমাত্রা ও শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য উপসর্গ নিশ্চিত না হয়েই রোগীকে ডায়াবেটিসের রোগী হিসেবেই মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। রোগীকে মেডিসিন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত নার্স আরফিনা থার্মোমিটার দিয়ে মেপে দেখেন রোগীর শরীরের তাপমাত্রা ১০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং তার শ্বাসকষ্ট রয়েছে।
একথা সময় নার্স আরফিনা অন্য নার্স খালেদা ইয়াসমিনকে জানালে তাদের দু’জনের মধ্যে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দেয়। তারা দু’জনই রোগীর প্রেসক্রিপশন নিয়ে জরুরি বিভাগে গিয়ে ডাক্তার সৌমিত্র কুমার বণিকের সাথে কথা বলে জানতে চান এরকম উপসর্গের রোগীকে কেন ওয়ার্ডে পাঠানো হলো! এসময় জরুরি বিভাগের ডাক্তার ওই নার্সদের কথা শুনেই রোগীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ডের সিদ্ধান্ত নেন। আতঙ্কিত দুজন নার্স রেফার্ডের ফরমের অফিসিয়াল কাজের সময়ই হঠাৎ রোগীটি মারা যায়। এদিকে রোগী মারা যাওয়ার সাথে সাথেই তড়িঘড়ি করে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃত রোগীকে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে রোগীর স্বজনরা।
কর্তব্যরত নার্স খালেদা ইয়াসমিন বললেন, জরুরি বিভাগ থেকে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের কোনো রোগীকে যদি পরীক্ষা নিরীক্ষা না করেই ওয়ার্ডে পাঠায় তাহলে এখানে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা খুবই আতঙ্কে আছি।
জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সৌমিত্র কুমার বণিক বলেন, রোগীর লোকজনরাই বলছিল রোগীর ডায়াবেটিস নীল হয়ে গেছে। তাই তাকে দ্রুত ভর্তির পরামর্শ দেই।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফেরদৌস হাসান বলেন, ওই রোগী দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিকসসহ নানান রোগে ভুগছিলেন। এসব রোগের জন্যই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ না থাকায় আইইডিসিআর এ পাঠানোর জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর