× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনা মোকাবেলায় সরকারকে সবধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বিসিবি ও বাফুফে

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৯ মার্চ ২০২০, রবিবার

করোনার আক্রমণে সারা দুনিয়া যখন থমকে গেছে, লাখো মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, প্রাণহানির পরিমাণ প্রতিদিনই বাড়ছে, তখন খেলাধুলার আয়োজনকে অপ্রয়োজনীয় মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। দুনিয়াজুড়ে সেটিই হয়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে খেলা-ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, অ্যাথলেটিকস সবই। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ, ইতালিয়ান সিরি ‘আ’, স্প্যানিশ লা লিগা বন্ধ, বন্ধ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, পিছিয়ে গেছে অলিম্পিক, ইউরোর, কোপা আমেরিকার মতো আয়োজন। বাড়িতে রীতিমতো বন্দী জীবন-যাপন করছেন খেলোয়াড়েরা। নিজ নিজ বাড়িতে বসেই করোনা মোকাবেলায় কাজ করছেন তারা। ক্লাবগুলোও করোনো মোকাবেলায় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারকে সব ধরণের সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। করোনা ভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরির জন্য এরিমধ্যে মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই সংস্থাটি।
এবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের সব বড় বড় সংস্থা। আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াও কোয়ারেন্টিনের জন্য ব্যবহার করতে তারা খুলে দিচ্ছে নিজেদের স্টেডিয়ামগুলো। ইতালি, স্পেন, ব্রাজিল থেকে ভারত পর্যন্ত সব বড় বড় স্টেডিয়ামই করোনা প্রতিরোধে ব্যবহারের অনুমতি পাচ্ছে। করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার জন্য কোয়ারেন্টিন সেন্টার কিংবা হাসপাতাল তৈরিতে কলকাতার ইডেন গার্ডেন, হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম, রিয়াল মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ও ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়াম ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।

এ পথেই হাঁটতে যাচ্ছে দেশের প্রধান দুই ক্রীড়া ফেডারেশন। মহামারী মোকাবেলায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা তো বসে আছি সরকারের সবুজ সংকেতের আশায়। সরকারের যখন যা সাহায্যের দরকার পরবে আমরা তা করবো। সরকার যা বলবে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তা দিতে রাজি আছি। এই দুর্যোগের সময় আমরা সরকারকে দেয়ার জন্য বসে আছি। আপনারা জানেন আমাদের খেলোয়াড়রা ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে, তাদের মাসিক বেতনের অর্ধেক টাকা তারা অসহায়দের সহযোগিতার জন্য দেবে। এ ধারাবাহিকতায় ২৭ ক্রিকেটার প্রায় ৩১ লাখ টাকা হাতে নিয়ে বসে আছে। বিসিবিও আর্থিক সহযোগিতা দেয়ার জন্য বসে আছে। শুধু আর্থিক সহযোগিতাই নয় কোয়ারেন্টিনের জন্য আমরা স্টেডিয়ামও ছেড়ে দিতে প্রস্তুত আছি। যে কোন সহযোগিতা লাগে তা করতে রাজি আছি। বাফুফেও অপেক্ষায় আছে সরকারের সবুজ সংকেতের। সরকার চাইলে তারাও সবধরনের সহযোগিতা করতে রাজি আছে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘যদি আমরা সরকারের কোনো উপকারে আসতে পারি তাহলে তা অবশ্যই করবো। যার যেটা দরকার লাগে, আমরা যেটা করতে পারি সবকিছুই দিয়ে দেবো। বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের অবস্থা হল ‘আমরা দিন আনি দিন খাই’। কিন্তু তার মধ্যেও যদি কোনো রকম আর্থিক সুবিধা দিতে হয় খেলোয়াড়সহ অসহায় মানুষদের তাহলে আমরা যেভাবেই হোক তা ম্যানেজ করে দেবো। যদি সরকারের প্রয়োজন পড়ে তাহলে কোয়ারেন্টিনের জন্য আমরা স্টেডিয়ামও ছেড়ে দেবো।

তবে কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরিতে মাঠ বা স্টেডিয়াম ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন ও বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ অভিন্ন সুরেই কথা বলেন। তাদের বক্তব্য, ‘আমাদের স্টেডিয়ামগুলোর মালিক সরকারই। ইচ্ছা করলে যে কোন কাজে সরকার স্টেডিয়ামগুলো ব্যবহার করতে পারেন।’

সরকারকে এসব সহযোগিতার বাইরেও প্রতিদিন ৩০০ দরিদ্র মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করছে বাফুফে। এরমধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রিমিয়ার লীগের ক্রিকেটারদের আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি। অনেক ক্রিকেটার, ফুটবলার নিজ নিজ উদ্যোগে শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর