× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

২০ রক্ষিতা নিয়ে বিলাসী হোটেলে থাই রাজার সেলফ-আইসোলেশন

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) মার্চ ২৯, ২০২০, রবিবার, ৭:২৩ পূর্বাহ্ন

থাইল্যান্ডের বিতর্কিত রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন স্ব-আরোপিত আইসোলেশনে গেছেন। তবে সেজন্য তিনি বেছে নিয়েছেন পর্যটন শহরের বিলাসবহুল হোটেলকে। রাজা একাই গ্রান্ড হোটেল সোনেনবিচল নামে ওই হোটেল ভাড়া নিয়েছেন। ৬৭ বছর বয়সী এই রাজার সঙ্গে ছিলেন তার ২০ উপপত্নী ও অসংখ্য চাকর। জার্মানির প্রখ্যাত ট্যাবলয়েড বিল্ডের বরাতে এ খবর দিয়েছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকা। রাজার ৪ স্ত্রীও একই হোটেলে থাকছেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
খবরে বলা হয়, গারমিশ-পার্টেনকির্শেন নামে ওই পর্যটন অঞ্চলের সমস্ত অতিথিশালা ও হোটেল করোনাভাইরাস সংকটের কারণে আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে রাজা থাকবেন বলে ওই হোটেলের জন্য বিশেষ অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় জেলা পরিষদ।
বিলাসবহুল রিসোর্টে রাজা ভাজিরালংকর্নের এই সেলফ-আইসোলেশনের খবরে সাজা হওয়ার ঝুঁকি নিয়েও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে অসংখ্য থাই নাগরিক।
আইন অনুযায়ী, রাজা বা রাজপরিবারের সমালোচনা বা অপমানসূচক মন্তব্যের জন্য সর্বোচ্চ ১৫ বছরের সাজা হতে পারে। কিন্তু তারপরও অনলাইনে সমালোচনা ঠেকানো যায়নি।
থাই জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার ঘোষণা দেয় মোট ১০৯ জন রোগী সহ দেশে মোট রোগীর সংখ্যা ১২৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এক অ্যাক্টিভিস্ট এর আগে দাবি করেছিলেন যে, থাইল্যান্ডে যখন এই রোগের প্রাদুর্ভাব চলছে, তখন থাই রাজা জার্মানিতে ছুটি কাটাতে চলে গেছেন। তার এই বক্তব্য প্রচারের পর টুইটারে ২৪ ঘণ্টায় থাই ভাষায় “আমাদের রাজা থাকার দরকার কী?” শীর্ষক হ্যাশট্যাগ ১২ লাখ বার ব্যবহৃত হয়।
ফ্রান্সে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা অ্যাক্টিভিস্ট সমসাক জিমতীরাসাকুল ফেসবুকে উল্লেখ করেন, থাই রাজা সুইজারল্যান্ড থেকে জার্মানির বেশ কয়েকটি স্থানে সফর করেছেন। থাই রাজপরিবার ও এ সংক্রান্ত আইনের কঠোর সমালোচক এই অ্যাক্টিভিস্ট লিখেন, ‘ভাইরাসে কী হবে না হবে, সেটা নিয়ে জনগণ চিন্তা করুক, এই হলো রাজার চিন্তা। জার্মানি পর্যন্ত এই ভাইরাস নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু রাজার এ নিয়ে মাথাব্যাথা নেই।’
লন্ডনের দ্য টাইমস জানায়, ফেব্রুয়ারির পর থেকে একবারও থাইল্যান্ডে জনসম্মুখে উপস্থিত ছিলেন না রাজা। ২০১৬ সালে পিতা ভূমিবলের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন ভাজিরালংকর্ন। রাজপরিবার সংক্রান্ত বিভিন্ন আইনের কারণে থাইল্যান্ডে তার জনপ্রিয়তা কতটুকু, তা যাচাইয়ের উপায় নেই। তবে এটি ধারণা করা হয় যে, ৭০ বছর সিংহাসনে থাকা ভূমিবলের তুলনায় ভাজিরালংকর্ন অতটা জনপ্রিয় নন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর