× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতে চিকিৎসাসহ নানা কাজে আটকা শ শ বাংলাদেশি, ফেরানোর প্রস্তুতি

অনলাইন

কূটনৈতিক রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) মার্চ ২৯, ২০২০, রবিবার, ৮:১৪ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ রোধে ভারতজুড়ে চলমান ২১ দিনের অবরোধ বা লকডাউনের কারণে দেশটিতে আটকা বা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন শত শত বাংলাদেশি। চিকিতসাসহ একান্ত প্রয়োজনীয় সফরে দেশটিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা
 এ অবস্থা তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সরকারের তরফে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দিল্লি মিশন জানিয়েছে-  চিকিতসার জন্য ভারতে যারা আটকা পড়েছেন তাদের বেশ অসুবিধা হচ্ছে। অনেকে অর্থনৈতিকভাবে সঙ্কটে পড়েছেন। দেশে ফেরার বিষয়ে অনিশ্চয়তা তো আছেই। এ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের ফেরানো ছাড়া বিকল্প নেই।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম রোববার এ নিয়ে এক  ফেসবুক বার্তায় জানান, ভারতে চিকিৎসা নিতে যেয়ে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের একটি তালিকা করছে দিল্লি মিশন। দেশে ফিরতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের মধ্যে এখনও যারা হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নি, তাদের মিশনে দ্রুত যোগাযোগের পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী। দিল্লির কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, করোনার কারণে ২৪ মার্চ থেকে গোটা ভারত লকডাউন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এর থেকে দেশটির সঙ্গে দুনিয়ার যোগাযোগ বিশষত আসা–যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ। লকডাউনের আগে চিকিৎসার জন্য যাওয়া ৫-৬ শ’ বাংলাদেশি কর্নাটক, বেঙ্গালুরু, দিল্লি ও কলকাতাসহ বেশ কিছু জায়গায় আটকা পড়েছেন। হাইকমিশনের হটলাইনে উল্লেখিত সংখ্যক বাংলাদেশি যোগাযোগ করে দেখে ফিরে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন। এখন পর্যন্ত চেন্নাইতে প্রায় আড়াই থেকে তিনশ’ বাংলাদেশি আটকে পড়েছেন। তাই চেন্নাই থেকে বাংলাদেশিদের প্রথম দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ফেসবুকে দেয়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বার্তাটি ছিল এমন- ভারতে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ ।আমরা শুনতে পাচ্ছি চিকিৎসা নিতে গিয়ে সেখানে কিছু বাংলাদেশী আটকা পড়েছেন এবং তাদের থাকতে অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের দূতাবাস ইতিমধ্যে একটি তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে। যারা এখনও যোগাযোগ করেননি, আপনারা এক সঙ্গে কত জন, কোথায় আছেন? নাম, বয়স, পাসপোর্ট নম্বর, যোগাযোগের জন্য মুঠোফোন নম্বর আমাদের দিল্লিতে অবস্থিত দূতাবাসে জানান। আমাদের দিল্লিতে দূতাবাসের টেলিফোন নম্বর ৮৫৯৫৫–৫২৪৯৪ (অথবা মুম্বাই কন্সুলেট ৯৮৩৩১–৫৯৯৩০)।’
শাহরিয়ার আলম লিখেন, পূর্ণ তালিকা পেলে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হবে। আপনাদেরকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে না পারা পর্যন্ত অন্তত আমরা চেষ্টা করবো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ যেন আপনাদের চাহিদার বিষয়গুলো দেখভাল করেন। আর যারা ফিরে আসতে চান তাদেরকে আশকোনা হাজি ক্যাম্পে এবং যারা চিকিৎসাধীন তারা কুর্মিটোলা বা অন্য হাসপাতালে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার সম্মতি দিতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর