মানবজমিনের প্রকাশনা বন্ধ হয়েছে আজ তিন দিন। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে দেশে-বিদেশে। যেকোন গণতান্ত্রিক সমাজে এটাই স্বাভাবিক। তবে কিছুটা বিভ্রান্তিও সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন মানবজমিনের প্রিন্ট সংস্করণ বোধকরি আর বের হবে না। যদিও প্রকাশনা বন্ধের সময় খোলাসা করে বলেছিলাম, এটা সাময়িক। পরিস্থিতির উন্নতি হলেই আমরা আবার প্রকাশনায় ফিরবো। যাই হোক অন্তত তিনটি কারণে আমরা আপাতত প্রকাশনা বন্ধ রেখেছি
১. কর্মীদের সুরক্ষা দেয়া।
আমি বাড়িতে বসে থাকবো আর কর্মীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে পত্রিকা বের করবো সেটা কী করে হয়। তাছাড়া আমিতো তাদের মোটা অঙ্কের কোনো স্বাস্থ্য বীমা দিতে পারিনি।
২, সংবাদপত্রের বিপণন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কোথাও পৌঁছানো যাচ্ছে না। বাসা-বাড়িতেও সংবাদপত্র নিতে পাঠকদের অনীহা। কাগজের ভেতর জীবাণু রয়েছে এ গুজব অনেকে বিশ্বাস করে বসে আছেন। বেশিরভাগ হকার নিরাপদ দূরত্বে। তাদেরও পরিবার রয়েছে। ২৫শে মার্চ ঢাকা হকার্স বহুমুখী সমিতির চিঠিতে ভয়ঙ্কর চিত্র ফুটে ওঠেছে।
৩.বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্র শিল্প
এমনিতেই চাপের মুখে। বিতর্ক চলছে প্রিন্ট সংস্করণের ভবিষ্যত নিয়ে। বাংলাদেশেও এ বিতর্ক জারি রয়েছে। এরমধ্যেই যোগ হয়েছে প্রাণঘাতি করোনা। শুধু সংবাদপত্র নয়, পুরো অর্থনীতিকেই এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে এ ভাইরাস। দেশে দেশে বহু কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ইংগিত মিলছে। বাংলাদেশে রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য প্রণোদনা দেয়া হলেও সংবাদপত্র শিল্পের জন্য এখনও কোন প্রণোদণা ঘোষণা করা হয়নি। যদিও সংবাদপত্র শিল্প হিসেবে স্বীকৃত।
শেষ কথা: নজর রাখুন মানবজমিন অনলাইনে ( www.mzamin.com )।পেয়ে যেতে পারেন নতুন কোনো তথ্য।আমরা এটা আবারও নিশ্চিত করে বলছি যে, মানবজমিন সহসাই প্রিন্ট সংস্করণে ফিরে যাবে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়া মাত্রই।
মতিউর রহমান চৌধুরী