× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভাঙ্গুড়ায় ছাত্রলীগের পাহারায় দরপত্র গ্রহণ ও জমা

অনলাইন

শাহিবুল ইসলাম পিপুল, ভাঙ্গুড়া (পাবনা) থেকে
(৪ বছর আগে) মার্চ ৩০, ২০২০, সোমবার, ১:৪২ পূর্বাহ্ন

গোটা দেশ যখন করোনার প্রভাবে স্থবির তখন ভিন্ন চিত্র পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায়। ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কার মধ্যেও মেডিকেল ও সার্জিক্যাল রিকুইজিট (এমএসআর) দরপত্র গ্রহন কার্যক্রম শেষ করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কক্ষে বরিবার দুপুরে এই দরপত্র জমাদান ও খোলা হয়। তবে অনেকের ধারনা করোনার প্রাভবের কারণে দরপত্র গ্রহীতার সবাই দরপত্র জমা দিতে পারে নাই। তবে দরপত্র জমাদানের নির্ধারিত তিনটি স্থানে দরপত্র জমাদানকারীদের দেখা না গেলেও উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা কর্মীদের উপস্থিতি দেখা যায়। দরপত্র জমা না হওয়ায় এটাও একটা কারণ বলে ধারনা অনেকের। তবে এই অবস্থায় দরপত্রের কার্যক্রম স্থগিত না করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম।

সরজমিনে ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল ও সার্জিক্যাল রিকুইজিট (এমএসআর) এর জন্য গত ১০ মার্চ দরপত্র আহ্বান করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম। ছয়টি শ্রেণীতে মোট ৫৫টি দরপত্র বিক্রি হয় সর্বশেষ দিন ২৬ মার্চ পর্যন্ত।
২৯ মার্চ (রবিবার) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও থানা কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দরপত্র গ্রহন করা হয়। এসময় উপজেলা, থানা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দরপত্র জমাদানকারী কোন ব্যক্তিদের দেখা পাওয়া না গেলেও অজানা কারনে তিনটি স্থানেই ভাঙ্গুড়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা যায়। উপজেলা কার্যালয় ও থানা কার্যালয়ের দরপত্র বাক্স উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌছালে দুপুর সাড়ে বারোটায় পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে দরপত্রের বাক্স খোলা হয়। সেখানে উপজেলা কার্যালয় এবং থানা কার্যালয়ের প্রদেয় বাক্সে কোন দরপত্র না থাকলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাক্সে ৬টি শ্রেণীতে মোট ১৭টি দরপত্র জমা পাওয়া যায়। বাকি ৩৮ জন দরপত্র ক্রয় করলেও তা জমা দেয়নি এবং দরপত্র বাক্স খোলার সময় দরপত্র জমাদানকারী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সেখানে উপস্থিত ছিল না।

জানা যায়, গত ১০ মার্চ ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল ও সার্জিক্যাল রিকুইজিট (এমএসআর) এর জন্য দরপত্র আহ্বান করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম। পরে ২৬ মার্চ পর্যন্ত দরপত্র বিক্রি করা হয়। এতে ৬টি ক্যাটাগরিতে ৫৫ জন দরপত্র ক্রয় করে। এরপর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও থানা কার্যালয়ে রবিবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে দুপুর১২টা পর্যন্ত দরপত্র জমা নেয়া হয়। এদিন সাড়ে বারোটার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে দরপত্রের বাক্স খোলা হয়। এতে দেখা যায় ৬ টি ক্যাটাগরির ক’তে ২টি, খ’তে ৩টি, গ’তে ৪টি, ঘ’তে ৩টি, ঙ’তে ৩টি ও চ’তে ২ মোট ১৭ জন ব্যক্তির তাদের দরপত্র জমা পরেছে বাকি ৩৮ জন ব্যক্তি দরপত্র কিনলেও জমা দিতে আসেননি। এমনকি যারা দরপত্র জমা দিয়েছেন তারাও সংশ্লিষ্ট অফিসে নিজে না এসে অন্যকে দিয়ে জমা দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন দরপত্র জমাদানকারী বলেন, করোনার প্রভাবে যখন সবাই একঘরে অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে তখন হাসপাতালের মেডিকেল ও সার্জিক্যাল রিকুইজিটৈর দরপত্র জমা নিতেই হলো। ইচ্ছা করলে কর্তৃপক্ষ কিছুদিন পরেও দরপত্র জমা নিতে পারত। যেখানে বিভিন্ন উপজেলায় দরপত্র গ্রহন স্থগিত করছে সেখানে এদের তাড়াহুড়োর কারন বুঝলাম না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম এ বিষয়ে বলেন, “আমি জেলা সিভিল সার্জনের সাথে আলোচনা করেই দরপত্র গ্রহন করছি। তিনি আরও বলেন,  হাসাপাতাল কার্যালয়ের কার্যক্রম চলছে তাই দরপত্রের কার্যক্রম নির্দিষ্ট সময়েই করা হচ্ছে।”
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর