× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খাগড়াছড়িতে অজ্ঞাত রোগে ১ শিশুর মৃত্যু

অনলাইন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) মার্চ ৩০, ২০২০, সোমবার, ১:৫৪ পূর্বাহ্ন

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় অজ্ঞাত রোগে গতকাল এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরো ১০ জন। আক্রান্তদের লক্ষণ দেখে এটি হাম রোগ মনে হলেও আসলে এটি কি রোগ তা পরীক্ষা না করে বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা। পরীক্ষা করার যন্ত্র না থাকায় অজ্ঞাত এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা ।
জানা যায়, দীঘিনালা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে দুর্গম রথিচন্দ্র কারবারী পাড়া এলাকায় ২২শে মার্চ থেকে হঠাৎ এই অজ্ঞাত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। খবর পেয়ে রোববার সকালে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকেমেডিকেল টিম ও দীঘিনালা সেনা জোনের মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত ২০ শিশুকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। এদিকে আজ অজ্ঞাত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ৯ জন শিশু দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এর আগে রোববার  এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ধনিতা ত্রিপুরা (৮) নামে এক শিশু মারা গেছে এবং ১ শিশুকে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ১০ জনে।
সরেজমিনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, শিশুদের গায়ে প্রচন্ড জ্বর।
সে সাথে গায়ে লাল ফোস্কার মতো দাগ এবং চোখ মুখ লাল।
এ ব্যাপারে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত প্রসেল ত্রিপুরার (৭) মা স্বর্ণতি ত্রিপুরা জানান, গত দুদিন আগেও আমার ছেলে সুস্থ ছিলো। পরে হঠাৎ করেই আমার ছেলে এ রোগে আক্রান্ত হয়। ঠিক কি রোগ হয়েছে তা আমরা কেউ বলতে পারছিনা।
রথিচন্দ্র কার্বারী পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ধনিময় ত্রিপুরা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে এলাকার শিশুরা প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। পরে তাদের শরীরে লাল লাল গুটি দেখা দিচ্ছে। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসারা এসে শিশুদের চিকিৎসা দিয়েছেন। কিন্তু এ রোগটি যেহেতু অজ্ঞাত তাই সঠিক চিকিৎসা ব্যহত হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন তিনি।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ বলেন, আক্রান্তদের লক্ষণ দেখে এটি হাম রোগ বলে মনে হচ্ছে। তদের সার্বিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আসলে পাহাড়ের প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকার মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা কম এবং তারা কুসংস্কারে বিশ্বাসী। স্থানীয়দের মধ্যে টিকাভীতিও রয়েছে, টিকা দিতে হবে ভয়ে তারা হাসপাতালেও আসতে চায় না। এসব কারণে হামের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। তবে আক্রান্ত এলাকায় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে হামের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর