চলতি মৌসুমের ফুটবল আর আদৌ মাঠে গড়াবে কি না তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। শেষ পর্যন্ত যদি আর মাঠে না গড়ায় তাহলে বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে খেলোয়াড়, ক্লাব ও আয়োজকরা। আর্থিক ক্ষতি এড়াতে মৌসুমের বাকি ম্যাচগুলো কিভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করা যায় সেটার সঠিক পন্থা বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফুটবল বোদ্ধারা। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের বাকি ৯২ ম্যাচ আয়োজন করার জন্য ব্রডকাস্টার ও স্পন্সররা চাপ দিচ্ছে আয়োজকদের। সেজন্য ‘বিশ্বকাপ ফুটবলের আদলে’ এই ম্যাচগুলো আয়োজন করার সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।
বিশ্বকাপে সাধারণত, নির্দিষ্ট শহর ও ভেন্যুতেই শুধু খেলা হয়ে থাকে। দলগুলোও থাকে নির্দিষ্ট হোটেলে। ঠিক একইভাবে লন্ডনের স্টেডিয়ামগুলোতে প্রিমিয়াল লীগের বাকি ম্যাচ আয়োজন করা হতে পারে। দলগুলোও থাকবে নির্দিষ্ট হোটেলে।
অনুশীলন মাঠও ঠিক করে দেবে আয়োজকরা। তবে দর্শকদের জন্য স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার কোনো ব্যবস্থা রাখা হবে না। স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার কথা চিন্তা করে ম্যাচগুলো হবে ‘ক্লোজ ডোর’ স্টেডিয়ামে। শুধুমাত্র টেলিভিশনের মাধ্যমে খেলা দেখতে পারবেন দর্শকরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় জুনের প্রথম সপ্তাহে আবারো ইংল্যান্ডে ফুটবল শুরুর পরিকল্পনা করছে দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। জুলাইয়ের মধ্যে মৌসুম শেষ করে কিছুদিন বিরতির পরই নতুন মৌসুম শুরু করতে চায় ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)।
সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত থাকবে ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল।