× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘শেবাগ নয়, টেস্ট ওপেনিংয়ে বিপ্লব আনে আফ্রিদি’

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
৩০ মার্চ ২০২০, সোমবার

 
টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ধৈর্য পরীক্ষা দিতে হয় ওপেনারদের। নতুন বলে রয়ে সয়েই খেলেন তারা। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন ভারতের বীরেন্দর শেবাগ। তার যামানার সেরা সেরা টেস্ট বোলারের ঘুম হারাম করেছেন মারদাঙ্গা ব্যাটিংয়ে। হালের ডেভিড ওয়ার্নারও অনেকটা শেবাগের স্টাইলে ব্যাটিং করেন। অজি ওপেনারও অকপটে স্বীকার করেন, তার অনুপ্রেরণা শেবাগ। তবে পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম মনে করেন, টেস্ট ওপেনিংয়ে বিপ্লব এনেছেন তার স্বদেশি শহীদ আফ্রিদি।

নিঃসন্দেহে ক্রিকেট ইতিহাসের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানদের একজন আফ্রিদি। একসময় দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ডটা ছিল যার দখলে।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৩৯৮ ওয়ানডে ও ৯৯ টি- টোয়েন্টি খেললেও আফ্রিদি টেস্ট খেলেছেন মোটে ২৭টি। ৫ সেঞ্চুরি ও ৮ হাফসেঞ্চুরিতে ৩৬.৫১ গড়ে ১৭১৬ রান সংগ্রহ তার। স্ট্রাইকরেট ৮৬.৯৭। অন্যদিকে ভারতীয় ওপেনার শেবাগ ১০৪ টেস্টে ৪৯.৩৪ গড়ে ২৩ সেঞ্চুরি ও ৩২ হাফসেঞ্চুরিতে ৮৫৮৬ রান করেছেন। স্ট্রাইকরেট ৮২.২৩। রয়েছে দুটি ট্রিপল সেঞ্চুরি। যার একটি পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০০৪ সালে মুলতান টেস্টে। পাকিস্তানি বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ৩৭৫ বলে ৩০৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শেবাগ।

পরিসংখ্যান বিবেচনায় টেস্টে টুক টুক ওপেনিংয়ের মানসিকতা পরিবর্তনের কৃতিত্ব দাবি করতেই পারেন শেবাগ। তবে ‘মুলতান অব সুলতান’ খ্যাত ওয়াসিম আকরাম শেবাগকে দ্বিতীয় স্থানে রাখছেন। ইউটিউবে একটি চ্যাট শোতে তিনি বলেছেন, ‘এ ক্ষেত্রে শেবাগের অবস্থান আফ্রিদির পর। ১৯৯৯-২০০০ সালের দিকে শহীদ আফ্রিদি টেস্ট ওপেনারদের মানসিকতা পাল্টে দেয়। একজন বোলার হিসেবে আমি জানতাম তাকে আউট করতে পারবো। কিন্তু এটাও জানতাম সে আমাকে বাউন্ডারি হাঁকাতে পারে। সে চাইলেই লুজ ডেলিভারিকে ছক্কায় পরিণত করতে পারতো।’

১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওপেনার হিসেবে টেস্ট অভিষেক হয় আফ্রিদির। পরের পর ভারত সফরে আসে পাকিস্তান। তবে পিসিবি নির্বাচক প্যানেলের অনেকেই আফ্রিদিকে দলে নেয়ার পক্ষপাতী ছিল না। অনেকটা জোর করেই তাকে দলে নেন তখনকার অধিনায়ক ওয়াসিম। তার আস্থার প্রতিদান দেন আফ্রিদি। চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টেই পেয়ে যান ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দেখা। ১৯১ বলে খেলেছিলেন ১৪১ রানের ইনিংস। সেটি স্মরণ করতে গিয়ে ওয়াসিম বলেন, ‘চেন্নাইয়ে সেদিন কী দারুণই না খেলেছিল সে। ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে কুম্বলে (অনীল) ও যোশিকে (সুনীল) ছক্কা মারছিল।’ ম্যাচে ২১টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন আফ্রিদি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর