ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে এক শিখ ধর্মগুরুর মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় অন্তত ৪০ হাজার মানুষকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ওই ধর্মগুরুর নাম বালদেব সিং। তিনি সম্প্রতি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। শহীদ ভগত সিং নগর জেলার এক জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি জার্মানি থেকে ইতালি হয়ে ভারতে ফিরেছিলেন তিনি।
বালদেব শহীদ ভগত সিং নগর জেলায় তার গ্রামের একজন ধর্মগুরু ছিলেন। ভারতে ফিরে গিয়ে নিজেকে সেল্ফ-আইসোলেট করা বা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা কোনো নির্দেশনাই মানেননি তিনি। একাধিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে পাশের শহরে ১০-১২ই মার্চ অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপি এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানটিতে প্রতিদিন অন্তত ৩ লাখের মতো মানুষ যোগ দিয়েছিল।
পাঞ্জাবের রুপনগরের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার স্বপন শর্মা বলেন, চলতি বছর অনুষ্ঠানটিতে ভীড় অর্ধেক কম হয়েছিল।
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে অনেকেই আসেননি। বালদেব সিং ১৮ই মার্চ মারা যান। পরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন।
শহীদ ভগত সিং নগরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিনয় বুবলানি রোববার বলেন, এখন পর্যন্ত বালদেবের সংস্পর্শে আসা ৬৫০ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া, অঞ্চলটির ২০টি গ্রাম কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। সবমিলিয়ে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৪০ হাজার মানুষকে। সরকারি কর্মকর্তারা ঘরে ঘরে গিয়ে করোনার লক্ষণ দেখা দিয়েছে এমন ব্যক্তিদের সনাক্ত করছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত সপ্তাহে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন জারি করেছেন। তবে খোলা রয়েছে বেশকিছু শিখ উপাসনালয়।