× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনায় একদিনে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বাংলাদেশির মৃত্যু

করোনা আপডেট

বিশেষ সংবাদদাতা, নিউ ইয়র্ক থেকে
৩০ মার্চ ২০২০, সোমবার

নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটি এখন শোকে মূহ্যমান। মহামারি করোনার ছোবলে গত রোববার একদিনেই এখানে মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিয়েছেন ৮ বাংলাদেশি। একইদিনে পাশ্ববর্তী নিউজার্সি ও মিশিগান অঙ্গরাজ্যে আরও একজন করে মোট ১০ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারান। এ নিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস বা কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মোট ২৪ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে ১৩ জন এবং ভার্জিনিয়ায় এক বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নিউ ইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে করোনা’র নতুন সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার ছিল আগের ২৪ ঘন্টার তুলনায় নিম্নমুখী  । সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪১০ জনে এবং মৃত্যু হয় ২ হাজার ৬শ’ জনের। এরমধ্যে কেবলমাত্র নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ৬৭৯ এবং মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬৩ জনের।

করোনা মহামারির শিকার হয়ে রোববার ২৯ মার্চ নিউইয়র্কে প্রাণ হারানো বাংলাদেশিদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত মুখ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মির্জা নুরুল হুদা (৪৬), জায়েদ আলম (৪৫), বিজিত কুমার সাহা (৪০), মোহাম্মদ আনিসুর রহমান (৭৬), মোতাব্বির চৌধুরী (৬৮), মোহাম্মদ শিপন মোহসেন (৫৬), শফিকুর রহমান (বয়স নিশ্চিত হওয়া যায়নি) এবং কাজী কায়কোবাদ (বয়স নিশ্চিত হওয়া যায়নি)। এছাড়া মিশিগানের ডেট্টয়েট সিটিতে এবং নিউজার্সির প্যাটারসন শহরে একজন করে বাংলাদেশীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট - এনওয়াইপিডি’র তিন শতাধিক কর্মকর্তা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যারমধ্যে ৭ জন বাংলাদেশি কর্মকর্তাও রয়েছেন। আক্রান্ত পুলিশ কর্মকর্তারা প্রত্যেকেই চিকিৎসাজনিত ছুটিতে গেছেন এবং তাঁদের সংস্পর্শে যাওয়া আরও কয়েক হাজার কর্মকর্তাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নিউ ইয়র্কে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে কিংবা বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে চিকিৎসক আতাউল ওসমানী, সাংবাদিক ফরিদ আলমসহ আরও অনেকেই রয়েছেন।
ক্রম:বর্ধমান কোভিড ১৯ রোগীদেরকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নিউ ইয়র্কের সর্ববৃহৎ কনভেন কমপ্লেক্স জ্যাকব জ্যাভিট সেন্টারকে এরইমধ্যে হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। আরও কয়েকটি বড় বড় হোটেলকে হাসপাতালে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। নিউ ইয়র্ক রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় সর্বমোট ৭৬ হাজার ডাক্তার ও নার্স এখানকার করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ও সেবা প্রদানের নিয়োজিত রয়েছেন, যা সর্বমোট রোগীর তুলনায় অনেক বেশি। তদুপোরি সর্বাধিক আক্রান্ত এই রাজ্যের রোগীদের চিকিৎসা ও সেবা প্রদানের জন্য তুলনামূলক কম আক্রান্ত রাজ্যগুলো থেকে হাজার হাজার ডাক্তার ও নার্স স্বেচ্ছায় নিউ ইয়র্কে এসে হাজির হয়েছেন। তারা বিভিন্ন হাসাপাতাল ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেবা প্রদানের সুযোগ চাইছেন। অন্যদিকে নানা রকম তিক্ততা সত্ত্বেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেডারেল প্রশাসন ও অ্যান্ড্রু কুমোর রাজ্য প্রশাসন চলমান জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিউ ইয়র্কে যৌথভাবে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনায় সম্মত হয়েছে। সন্দেহভাজন করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের পরীক্ষা আরও জোরদার করা হয়েছে। সম্ভাব্য প্রয়োজন বিবেচনায় রেখে আরও বেশি সংখ্যক ভেন্টিলেটর সংগ্রহের কাজও চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর