পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে আরো এক করোনা আক্রান্তের। ফলে রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২। রোববার গভীর রাতে কালিম্পংয়ের বাসিন্দা ৪৪ বছরের এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। এদিন পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১। একজনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানা গেছে। শ্বাসকষ্টের জন্য ভেন্টিলেশনে রয়েছেন তিনি। তাঁর চিকিৎসক অজয় সরকার বলেছেন, আমরা সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পরিস্থিতি যে একেবারে আয়ত্তের বাইরে চলে গিয়েছে, এখনই তা বলা যাবে না।
রাজ্যে আরও এক নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। গত ২৮ মার্চ শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক ব্যক্তি। বয়স ৭৭ বছর। সূত্রের খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। এরই মধ্যে জানা গেছে, রাজ্যে প্রথম চিহ্নিত করোনা আক্রান্তদের মধ্যে তিন জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদিকে ভারতে ২৪ ঘন্টায় ১০৬ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০২৪। মৃতের সংখ্যা ২৯। তবে ভারতের অন্যতম স্বাস্থ্য আধিকারিক লব আগরওয়াল বলেছেন, ভারত এখনও স্টেজ টুতে রয়েছে। গোষ্ঠী সংক্রমণের কোনও নজির নেই। তবে ভারত স্থানীয় স্তরে সংক্রমণের পর্যায়ে রয়েছে। করোনা সংক্রমণে এখনও মহারাষ্ট্র শীর্ষে রয়েছে। এরপরেই রয়েছে কেরালা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, সেবায় নিরলস, অক্লান্ত তাঁরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও করোনা আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। করোনা মোকাবিলায় দেশের চিকিৎসক, নার্সদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, এই সময় করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেভাবে ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিক্যাল কর্মী থেকে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সবাই এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। স্বার্থহীনভাবে যাঁরা এই সময় কাজ করছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই। সমাজের প্রতি তাঁদের অবদান, আমাদের সবার কাছে অনুপ্রেরণা।