× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একটি হৃদয়বিদারক ফোন কল

অনলাইন

বিশেষ সংবাদদাতা, বৃটেন থেকে
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ১, ২০২০, বুধবার, ৯:৫২ পূর্বাহ্ন

‘তোমার মা ও পরিবারের দেখাশোনা করো, নিজের যত্ন  নিও, তিনদিন পর তোমাদের সঙ্গে দেখা হবে।‘ মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে ছেলে জিয়াকে ফোনে এমন কথাই বলেছিলেন বার্মিংহামের শীর্ষস্থানীয় রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী চৌধুরী আসলাম ওয়াসসান। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর ৬৭ বছর বয়সী চৌধুরী আসলামকে ভর্তি করা হয় শহরের সিটি হাসপাতালে। সেখানে তাকে ইনটেনসিভ কেয়ারে স্থানান্তরের আগে তিনি ছেলেকে শেষ ফোন কলটি করেছিলেন। যেখানে আশা করেছিলেন তিনদিন পর তাদের দেখা হবে। কিন্তু সে সান্ত¦না বাক্যগুলোই এখন পরিবারের সদস্যদের জন্য হয়ে উঠেছে বেদনার বার্তা। ইনটেনসিভ কেয়ারে তার পরিস্থিতির উন্নতি না হলে চিকিতসকরা ভেন্টিলেটরের সুইচ অপ করার সিদ্ধান্ত নেন। মৃত্যুর ঘন্টাখানেক আগে চিকিতসকরা চৌধুরী আসলামের সাথে তার দুই ছেলেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা ব্যবস্থায় দেখা করার সুযোগ দেন। চৌধুরী আসলামের ভাতিজা জাওয়াদ বলেন, আমরা তখনো আশা করেছিলাম তিনি সেরে উঠবেন।
আমরা তাকে সাহস দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে পেরে উঠেননি। তার মৃত্যু আমাদের পরিবারের জন্য বেদনার এবং বার্মিংহামের পাকিস্তানী কমিউনিটির জন্য গভীর শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য সুপরিচিত চৌধুরী আসলামের মৃত্যুতে বার্মিংহাম সিটি এমপি খালিদ মাহমুদ ও কাউন্সিলর ওয়াসিম জাফরসহ নানা ব্যক্তিবর্গ শোক প্রকাশ করেছেন। এদিকে চৌধুরী আসলামের স্ত্রী নিজেই এখন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা এখন বাসায় হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর