ক‘দিন আগেই করোনা তহবিলে ১.৫ মিলিয়ন পাউন্ড দান করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। করোনা ভাইরাসের জেরে আয় কমে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত জুভেন্টাসের কাছ থেকে চারমাস বেতন (প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন পাউন্ড) নেবেন না পর্তুগিজ সুপারস্টার। তবুও চলমান মৌসুমে পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের আয় ছাড়িয়েছে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৩৫ বছর বয়সী জুভেন্টাস ফরোয়ার্ডের চেয়ে বেশি আর কোনো ফুটবলার আয় করতে পারেনি (চলতি মৌসুমে)। ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের মধ্যে রোনালদোর চেয়ে বেশি আয় করেছেন কেবল যুক্তরাষ্ট্রের তারকা গলফার টাইগার উডস ও বক্সিং কিংবদন্তি ফ্লয়েড মেওয়েদার।

করোনা তহবিলে দান, চার মাসের বেতন না নেয়া আবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক’দিন আগে ৯০ কোটি দিয়ে কিনেছেন বিলাসবহুল গাড়ি। এত কিছুর পরও রোনালদোর আয় বেড়েছে ফুটবলের বাইরে তার নিজস্ব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ‘সিআর সেভেন’ ও নাইকির সঙ্গে স্পন্সরশিপের অর্থের কারণে। এর সঙ্গে রয়েছে জুভেন্টাস থেকে পাওয়া ২ লাখ ৭৪ হাজার পাউন্ড সাপ্তাহিক বেতন। অন্যান্য আয় তো রয়েছেই।
এর মধ্যে ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে রয়েছে জুভেন্টাস। এ কারণে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছেড়ে দিতে চাচ্ছে ইতালিয়ান জায়ান্টরা। বাৎসরিক ২৭ মিলিয়ন পাউন্ড পারিশ্রামিক দিতে হয় রোনালদোকে।

২০১৯ সালে ক্রীড়াবিদদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় করেন লিওনেল মেসি। বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকার আয় ছিল ১০৩ মিলিয়ন পাউন্ড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৮ মিলিয়ন পাউন্ড আয় করেন রোনালদো। ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার আয় করেন ৮৫ মিলিয়ন পাউন্ড।