করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার এক দম্পতির। মঙ্গলবার রাতে এম্বুলেন্সে করে স্থানীয় প্রশাসন তাদেরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সেখানে ভর্তি করা হয়েছে তাদেরকে। এ কথা নিশ্চিত করেছেন মধুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চু। তিনি বলেন, ওই দম্পতির অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে বিশেষ ব্যবস্থায় তিনিসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অন্যরা মিলে বিশেষ পরিবহনে তাদেরকে ফরিদপুরে পাঠিয়েছেন। তবে পরীক্ষার আগে নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে, তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।
মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বড় গোপালদী গ্রামে বাড়ি ওই দম্পতির। ওই গ্রামের মিজানুর রহমান (৪৬) ইজিবাইক চালান।
কয়েকদিন ধরে তিনি জ¦র, কাশি ও গলাব্যথায় ভুগছিলেন। এ অবস্থায় তিনি ইজিবাইক চালানো বাদ দিয়ে সোমবার বাড়ি চলে যান। একই লক্ষণ দেখা দেয় তার স্ত্রীর মধ্যেও। মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা মনোয়ার, সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) আনিসুজ্জামন লালন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম তাদের বাড়ি যান। তারা কথা বলেন মিজানুর রহমানের সঙ্গে। ওইদিন রাত ১০টার দিকে বিশেষ ব্যবস্থায় মিজানুর রহমান (৪৬) ও তার স্ত্রী রোজিনা বেগমকে (৩৮) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মধুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা মনোয়ার মিডিয়াকে বলেছেন, খবর পেয়ে রাতেই উপজেলার বড় গোপালদী গ্রামে মিজানুর রহমানের বাড়িতে উপস্থিত হই। মিজানুরের সাথে কথা বলে জানতে পারি, তিনি কয়েকদিন যাবৎ জ্বর, কাশি ও গলাব্যাথায় আক্রান্ত। তার সঙ্গে কথা বলে তাকে এম্বুলেন্সে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মিজানুর রহমানের সাথে তার স্ত্রী রোজিনাকেও পাঠানো হয়েছে। সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বড় গোপালদী গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়িসহ পাশ্ববর্তী মিজানুরের চাচাতো ভাই সালাম ও কালামের বাড়ির সকল সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী রোজিনাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নীরিক্ষার উদ্যোগ চলছে। পরীক্ষা শেষে বলা যাবে তিনি ও তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত কিনা।