× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনা: থাইল্যান্ডে অনাহারের সম্মুখীন ৪০০০ হাতি

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ১, ২০২০, বুধবার, ৪:৪৯ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাসে ধস নেমেছে থাইল্যান্ডের পর্যটন খাতে। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে দেশটির কয়েক হাজার হাতি। দেশটিতে পোষ্য হাতির সংখ্যা ৪০০০ হাতি। একেকটি হাতি প্রতিদিন ২০০ কেজি পর্যন্ত খাবার খেতে পারে। পরিবেশবাদীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে দেশগুলোর পার্কগুলোয় পরিদর্শকের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। নেই কোনো আয়। হাতিগুলোর খাবার যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন তত্ত্বাবধায়করা। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে বলা হয়, থাইল্যান্ডে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। মারা গেছেন ১২ জন।
থাইল্যান্ডের অলাভজনক হাতি সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা সেভ এলিফ্যান্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা লেক চাইলার্ট বিবিসিকে বলেন, হাতিগুলোকে নিরাপদে রাখতে কোনো সমর্থন না পেলে, তাদের অনেকেই না খেয়ে মারা যেতে পারে। নয়তো রাস্তায় ভিক্ষার কাজে লাগানো হতে পারে। এদের অনেকেই এখন গর্ভবতী।
চাইলার্ট জানান, হয়তো কিছু হাতি চিড়িয়াখানার কাছে বিক্রি করে দেয়া হতে পারে বা গাছের কান্ড টানার কাজে ফের ব্যবহৃত হতে পারে। যদিও দেশটিতে একাজে হাতি ব্যবহার ১৯৮৯ সাল থেকে নিষিদ্ধ আছে। তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা না পেলে ভবিষ্যৎ খুবই অনিশ্চিত।
ভালো মৌসুমেই হাতিগুলোকে খাওয়ানো ও সুস্থ রাখা বেশ কঠিন কাজ। এখন শুষ্ক মৌসুম চলছে। এই মৌসুমে পরিস্থিতি আরো কঠিন। মে চায়েম জেলার হাতি অভয়ারণ্য কিন্ডার্ড স্পিরিট এলিফ্যান্ট স্যাঙ্কচুয়ারির ব্যবস্থাপক কেরি ম্যাকক্রে জানান, পর্যটন থেকে কোনো আয় না থাকায় তার নিকটস্থ এলাকার গ্রামবাসীরা সম্প্রতি প্রায় ৭০টি হাতি তার এলাকায় নিয়ে এসেছে। তিনি জানান, হাতিদের খাওয়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বিচরণের জন্য পর্যাপ্ত বনাঞ্চল নেই।
ম্যাকক্রি জানান, তার অধীনে পাঁচটি হাতি আছে। এদের খাওয়ানোর জন্য প্রতিদিন তাকে তিন ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে ঘাস ও ভূট্টার ডালপালা নিয়ে আসতে হয়। তার এলাকার বাকি হাতিপোষকদেরও একই অবস্থা।
তিনি বলেন, হাতিরা খুশি থাকলে তারা তাদের লেজ নাড়ায়, কান নাড়া দেয় বা ধূলায় গড়াগড়িও খায়। কিন্তু ক্ষুধার্ত অবস্থায় তারা বিষণ্ণ হয়ে পড়ে। তখন ওইসবের কিছুই করে না।
তিনি জানান, পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ হলে, হাতিপোষকদের নিজেদের ও হাতিদের মধ্যে বেছে নিতে হতে পারে। এখানকার মানুষদের তেমন কোনো আয় নেই। কিন্তু তারা তাও আপাতত হাতিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর