× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘করোনা’ আমার জীবনে আরেক চ্যালেঞ্জ

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার

ক্রিকেটে পেসারদের ফিটনেস নিয়ে অনেক ভাবতে হয়। কারণ বেশি ইনজুরিতে পড়েন পেসাররাই। নিয়মিত মাঠে অনুশীলন করতে না পারলে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হয়ে যেতে পারে তাদের। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে সবকিছু বন্ধ থাকায় পর্যাপ্ত অনুশীলন করতে পারছেন না বাংলাদেশি পেসাররা। এ নিয়ে বিসিবি’র চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী জানিয়েছেন তার দুশ্চিন্তার কথা। বিশেষ করে ইনজুরি ঝুঁকিতে থাকা বোলারদের নিয়ে তার চিন্তা বেশি। চোটপ্রবণ পেসারদের তালিকায় প্রথমেই আসে তাসকিন আহমেদের নাম। জাতীয় দলে আসার আগে থেকেই বিভিন্ন ইনজুরিতে ভুগেছেন তিনি।

এরপর অসংখ্যবার ছিটকে পড়েছেন মাঠ থেকে। সবশেষ ইনজুরি কাটিয়ে নতুন করে শুরু করেন ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে। কিন্তু তার এই ফেরার লড়াই থামিয়ে দিয়েছে করোনা ভাইরাস। দেশের সবধরনের ক্রিকেট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত। ফলে আরো একবার কঠিন চ্যালেঞ্জ তাসকিনের সামনে।

দৈনিক মানবজমিনকে তাসকিন বলেন, ‘আসলে ক্রিকেটের শুরু থেকেই নানা কঠিন সময় পার করেছি। এখন করোনা ভাইরাসও আমার জীবনে একটি কঠিন চ্যালেঞ্জের মতো। সময়টা খারাপ। কারো কিছু করার নেই। বাসায় বসেই নিজেকে ফিট রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

পেসাদের নিয়মিত মাঠে যেতে হয়। নিয়মিত বোলিং না করলে ধীরে ধীরে কমে আসে স্ট্যামিনা। ফিটনেস লেভেল নিচে নেমে যায়। বাসায় বসে কীভাবে নিজেকে ফিট রাখছেন? তাসকিন বলেন, ‘শুধু বোলিংটা করা হচ্ছে না। বাকি যে বিষয়গুলো আছে সেগুলো ঘরের মধ্যে করার চেষ্টা করি। রানিংটা গুরুত্বপূর্ণ । এর জন্য ছাদ ও সিঁড়ি বেছে নিয়েছি। জিমের যে কাজগুলো আছে সেগুলো বাসায় যতটা সম্ভব নিয়ম মেনে করছি। ফিটনেস বাসায় বসে বাড়ানো সম্ভব না। তবে ধরে রাখা সম্ভব। তাই ফিটনেস ধরে রাখার জন্য যা যা করার তাই করছি।‘

করোনা মহামারির কারণে ছুটি আরো বাড়তে পারে। তাতে তাসকিনের মতো পেসাররা পড়বেন মুশকিলে। এ নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘এটা সত্যি যে ছুটি দীর্ঘ হলে আমাদের জন্য সমস্যা হবে। কিন্তু সবার জন্যই এখন তা সমান। নিজেরটা ভাবলে তো আর হবে না।’

‘৬ কেজি ওজন কমিয়েছি’
বাসায় বন্দি থাকলে ওজন বাড়ার ভয় সবচেয়ে বেশি। এ নিয়ে জাতীয় দলের নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন ক্রিকেটারদের সতর্কও করেছেন। তার মতে ঘরে থাকতে থাকতে ক্রিকেটাররা অস্থির হয়ে খাওয়া-দাওয়া বাড়িয়ে দেন। তবে তাসকিন ওজন নিয়ে সতর্ক। জানিয়েছেন, গত তিন মাসে ওজন কমিয়েছেন ৬ কেজি। তিনি বলেন, ‘এটি সত্যি যে ঘরে থাকলে নানা রকম খেতে মন চায়। কিন্তু পরক্ষণেই ভাবি যে আমি প্রফেশনাল ক্রিকেটার। আমার ক্রিকেট দিয়েই চলবে হবে। তার জন্য ফিটনেস ভীষণ জরুরি। বিশেষ করে ওজন ঠিক রাখার কোনো বিকল্প নেই। যে কারণে খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। সাধারণ মানুষের মত হলে চলবে না। আমি গেল তিন মাসে ৬ কেজি ওজন কমিয়েছি। এখন আরো কিছুটা কমিয়ে নেয়ার চেষ্টায় আছি।’

ওজন ঠিক রাখতে কী করছেন। এ নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘ওজন যেন না বাড়ে এজন্য আমি এমনিতে এক বেলা ভাত খাই। আর বাকি সময়টা ফল-সবজি খেয়ে থাকি। আর কিছু জিম করছি যাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর