× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনার উপসর্গ নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু

বাংলারজমিন

বাংলারজমিন ডেস্ক
২ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার

দেশের বিভিন্ন জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢামেকে ২, বগুড়ায় ১, রাজশাহীতে ১, চট্টগ্রামে ১, সাতক্ষীরায় ১, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ১, শরীয়তপুরে ১ ও নড়াইলে ১জন রয়েছেন। এর আগে গত ৩দিনে করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৯ জন মারা যান। বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে-
স্টাফ রিপোর্টার জানান,
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা সন্দেহে ভর্তি দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজনের বয়স ৬৫ আরেক জনের বয়স ৩৫ বছর। করোনার সন্দেহ থাকায় মৃতদের রক্তের নমুনা আইইডিসিআরএ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢামেক। বুধবার ঢামেক  হাসপাতালের  সহকারী পরিচালক (অর্থ) ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গতকালই (মঙ্গলবার) তারা দুই জনেই হাসপাতালে ভর্তি হন।
তাদের নতুন ভবনের নিচে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল।  রাত সাড়ে ১০ টার দিকে একজনের মৃত্যু হয়।  আরেকজন আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে মারা যান।
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, ‘জ্বর ও শ্বাসকষ্ট’ নিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সময় তিনি করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্থাপিত ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মৃত যুবক বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলার নবীনগর গ্রামের। হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে যুবককে এ হাসপাতালে ভর্তির পর করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের জন্য নির্ধারিত ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। “জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকার কারণে হাসপাতালের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তবে তার করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ছিলেন না। তিনি হাঁপানির রোগী; সাথে জ্বর হয়েছিল।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে জ্বর, সর্দি, কাশি ও হাঁচি নিয়ে রাশিদা খাতুন (২৫) নামে এক নারী মারা গেছেন। বুধবার ভোরে কালীগঞ্জ উপজেলার বন্দকাটি গ্রামে বাবার বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের ফতেপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আলভী হোসেন নামে তিন বছরের এক শিশু মারা গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিশুটি নিজ বাড়িতে মারা যায়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশুটি মারা গেছে এমন সন্দেহে স্থানীয় ছয়টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। সে উপজেলার আমুয়া পূর্বপাড় সর্দারপাড়ার শহীদ সর্দারের ছেলে। কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দীন বলেন, কয়েক দিন ধরে আলভী জ্বরে ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছিল। এ অবস্থায় মারা যাওয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা এক যুবকের (৩৪) মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার বাড়ি নড়িয়া উপপজেলায়। তিনি পেশায় শ্রমিক ছিলেন। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও কাশি থাকায় ওই যুবককে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এর আগে ১৯শে মার্চ কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনির আহমেদ খান বলেন, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল তার। শ্বাসকষ্ট থাকায় তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসা দেয়া অবস্থায় তিনি মারা যান। শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. এস.এম. আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হবে।

নড়াইল  প্রতিনিধি জানান, নড়াইলে করোনা রোগের উপসর্গ নিয়ে শওকত আলী (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে নড়াইল সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তিনি শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ডায়রিয়া, গা ব্যাথা ও বমিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কিছু সময় পর মারা যান।
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে জানান,
এবার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে থাকা এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১ এপ্রিল) তার মৃত্যু হলেও কয়টার দিকে মৃত্যু হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো কথা বলছে না চট্টগ্রামে সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি মিয়া।

সেখ ফজলে রাব্বি মিয়া জানান, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির আগে সে কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। তার বাড়ি কক্সবাজারের জেলায়। তার বাবা স্থানীয় একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

সেখ ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, কক্সবাজার সরকারি হাসপাতাল থেকে আসা ওই কিশোরের জ্বর ও শ্বাসকষ্ঠ থাকায় মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে সে করোনাভাইরাস আক্রান্ত কিনা নিশ্চিত নই।

তিনি বলেন, কিশোরের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অবস্থিত বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেলে করোনার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বগুড়া প্রতিনিধি জানান,
বগুড়া আইসোলেশন ইউনিট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১৩ বছরের এক কিশোর বুধবার রাতে মারা গেছে। তার শরীরে করোনার সব লক্ষণ ছিল। এর আগে বিকেলে খুব খারাপ অবস্থায় ওই কিশোর ভর্তি হয় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৭টায় মারা যায় সে। তার বাড়ি জেলার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান এলাকায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর