করোনার থাবায় দিশেহারা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের তরমুজ চাষীরা।পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষেতেই পঁচতে শুরু করেছে কৃষকের উৎপাদিত তরমুজ।বাজারজাত করতে না পারায় মাঠেই শেষ হতে যাচ্ছে তাদের স্বপ্ন। কী যে করমু? বুঝি না।করোনার কারনে সারাদেশে গাড়ি -ঘোড়া, নৌকা, ট্রলার সবই বন্ধ। বাজারে না নিতে পরলে তো মোগা তরমুজগুলো সবই ক্ষেতেই পঁইচা শেষ হয়ে যাবে।পরিবার নিয়ে কোথায় দাড়াবো।ঋন করে তরমুজ চাষ করলাম লাভের আাশায়। এখন লাভন তো দূরের কথা চালানই রইবো না।গত বুধবার বিকালে মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাজার এলাকার চরঅঞ্চলের তরমুজ চাষীদের সাথে আলাপ করলে, বুক ভরা কষ্ট নিয়ে তারা এসব কথা বলে। তারা আরও বলেন,
কেবল ফল কাটার সময় হয়েছে। এখন বাজারজাত করার সময়। কিন্তু বাজারজাত করতে না পারায় তরমুজগুলো পঁচে উঠেছে। আবার অনেক তরমুজ বেশি পেকে যাওয়ায় ফুটে যাচ্ছে।
উপরন্ত লঞ্চ ও ট্রাক চলাচল না করায় ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে তরমুজ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে মানুষ ঘরমুখি হওয়ায় স্থানীয় বাজার গুলোতেও তরমুজ বিক্রিগ বিক্রি হচ্ছে না ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। কৃষি অফিসের তথ্যনুসারে ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করতে ২০ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে । মির্জাগঞ্জে অধিকাংশ তরমুজই পাকা অবস্থায় ক্ষেতে রয়েছে। যদি এভাবে থাকে তাহলে তরমুজগুলো নষ্ট হয়ে যাবে।
উপজেলার মির্জাগঞ্জ চরের তরমুজ চাষী হাবিব জানান, ৪ লাখ টাকা খরচ করে ১ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন । । পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় কোন তরমুজ বিক্রি করতে পারেননি। ক্ষেতের সব তরমুজই প্রায়ই পেকে গেছে । করোনার কারণে তরমুজ চালান বিক্রি করতে পারছেননা। অন্য এক তরমুজ চাষী নাসির উদ্দীন জানান, এখনো পর্যন্ত তরমুজ বিক্রি করতে পারেনি। শতে শতে তরমুজ ক্ষেতে পেকে রয়েছে।
মির্জাগঞ্জউপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন জানান, এব বছর মির্জাগঞ্জে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু করানো কারনে পরিবহ বন্ধ থাকায় কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত তরমুজ বাজারজাত করতে পারছে না। আর তরমুজ পাকার পর ৮-১০ দিনের বেশি সংরক্ষণ করা যায় না।এভাবে বেশি দিন থাকলে কৃষকের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।