× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইউটিউবে বার বার দেখছেন নিজের ব্যাটিং /হাতের ব্যান্ডেজ খুলতে পারছেন না সাদমান

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার

 
অস্ট্রেলিয়া থেকে সফল অস্ত্রোপচার শেষে দেশে ফিরে এসেছেন সাদমান ইসলাম। জাতীয় দলের এই তরুণ ওপেনারের আঙুলে ইনজুরি ছিল। তবে দেশের ফিরেই পড়েছেন কঠিন পরিস্থিতিতে। সরকারের নির্দেশ মেনে ছিলেন ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে। করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশেও চলছে অলিখিত লকডাউন। বাইরে বের হওয়ার কোন সুযোগ নেই। হাসপাতালে গিয়ে হাতে ড্রেসিং করাতে পারছেন না সাদমান। এমনকি ব্যান্ডেজও খুলতে পারছেন না।
দৈনিক মানবজমিনকে সাদমান বলেন, ‘বাসাতেই আছি। সরকারের নিদের্শনা ছিল ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার। আমি থেকেছি। বাসায় শুয়ে-বসে দিন যাচ্ছে। তবে সমস্যা হচ্ছে বাইরে যেতে না পারার কারণে হাতের অপারেশনের যে ড্রেসিং করা প্রয়োজন তা করাতে পারছি না। আবার হাসপাতালগুলোর যে অবস্থা, সেখানে যেতেও ভয় লাগছে। যদিও আমাদের চিকিৎসক দেবাশিষ স্যার বলেছেন কোনো সমস্যা নেই। হাসপাতালে আপাতত যেতে হবে না।’
এ ব্যাপারে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘ওর ড্রেসিং প্রয়োজন নেই আপাতত। ড্রেসিংটা করানো হয় ইনফেকশন থাকলে। ওর এমন কিছু নেই। একটা সমস্যা হচ্ছে ব্যান্ডেজ খোলা। আমি বলেছি সেটি এখন না খুললেও চলবে। যেভাবে আছে থাকুক। আমরা তো আছিই। আমি মনে করছি না কোনো সমস্যা হবে। ও যেভাবে বিশ্রাম নিচ্ছে সেভাবেই থাকুক।’
জানুয়ারিতে ইনজুরিতে পড়েন সাদমান। মিস করেন পাকিস্তান সফর। শুরুতে জানা গিয়েছিল অস্ত্রোপচার লাগবে না। কিন্তু বিসিবি তরুণ এই ক্রিকেটারকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়ায়। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসে ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশেও হানা দেয় এই মরণব্যাধি। যে করণে এখন গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে সাদমানকে।
কীভাবে সময় কাটছে সাদমানের? ক্রিকেটের বাইরে থাকা কঠিন তার জন্য। সময় কাটাতে বেছে নিয়েছেন ইউটিউব। যেখানে নিজের ব্যাটিং দেখে ভুলগুলো খুঁজতে থাকেন সারাক্ষণ। চিন্তা করেন কোথায় উন্নতি প্রয়োজন। এছাড়াও নিজের প্রিয় ও বড় বড় ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দেখেন। তিনি বলেন, ‘সময় কাটানো কঠিন। পরিস্থিতি ভালো থাকলেও ইনজুরির কারণে খেলতে পারতাম না। তাই মানসিকভাবে নিজেকে শক্ত রেখেছি। ইউটিউবে নিজের ব্যাটিংয়ের ভিডিও দেখি। কোথায় ভুল হয়েছিল সেগুলো নিয়ে চিন্তা করি। কীভাবে আরো উন্নতি করা যায়। এছাড়া পুরানো ক্রিকেট ম্যাচ ও বড় বড় তারকাদের ব্যাটিং দেখি।’
২৪ বছর বয়সী সাদমানের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ২০১৮ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকায় তিনি প্রথম আন্তর্জতিক ম্যাচ খেলে। এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে ৬ টেস্ট খেলেছেন। টেস্টে ওপেনিং তামিম ইকবালের যোগ্য উত্তরসূরিই ভাবা হয় তাকে।
বিদেশ থেকে দেশে ফিরে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা দেশের প্রতি দায়িত্ব পালন বলে মনে করেন সাদমান। তিনি বলেন, ‘সরকার বলেছে যে বিদেশ থেকে ফিরে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আমি মনে করেছি এটি আমার দায়িত্ব। যারাই বিদেশ থেকে এসেছেন সবারই এটি দায়িত্ব মনে করে করতে হবে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে বাইরে যত কম যাওয়া যায় ততই মঙ্গল। আমি ড্রেসিং করানোর জন্যও বাইরে যাচ্ছি না। আমার অনুরোধ, সকলে সচেতন হয়ে দেশের জন্য নিজের দায়িত্ব পালন করবেন।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর