নারায়ণগঞ্জের বন্দরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা নারীর ভাবী, ভাতিজাসহ ৮ নিকট আত্মীয়কে হোমকোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তারা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭নম্বর ওয়ার্ডের পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার দুপুরে সদর মডেল থানা পুলিশসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা ওই আত্মীয়ের বাড়িতে পৌছে তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেন। তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু। কোয়ারেন্টিনের আওতায় থাকা এই পরিবারের সদস্যদের খাবারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেবার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিকে স্থানীয় পত্রিকার এক সাংবাদিককে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনতে খোঁজা হচ্ছে। যিনি রোগীর সাথে এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, করোনায় আক্রান্তে মৃত নারী অসুস্থ অবস্থায় এক রাত নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকায় ওই আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। সেখানে দুই পরিবারের আটজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি মৃত্যু হওয়া নারীর খুব ঘনিষ্ঠ সংস্পর্ষে থাকা আত্মীয় স্থানীয় এক সাংবাদিককে কোয়ারেন্টিনে আনা জরুরি হয়ে পড়েছে।
নিহত নারীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ অসুস্থ ননদ তার পাইকপাড়ার বাড়িতে ছিলেন। পরে এখান থেকেই তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরে পুলিশ, এলাকার কাউন্সিলর ও ডাক্তাররা
এসে তাদের আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।এর আগে শুক্রবার সকালে ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় তার সংস্পর্ষে থেকে সেবায় নিয়োজিত থাকা সদর জেনারেল হাসপাতালের এক ওয়ার্ড বয়কে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। পাশাপাশি এক চিকিৎসক ও নার্সসহ আরো ১০ জনকে কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত২৯ মার্চ ওই নারী ঠান্ডা জ্বরে অসুস্থ হলে স্বজনরা প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সদর জেলারেল হাসপাতালে ও ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। পরে কুর্মিটোলাহাসপাতালে নিয়ে গেলে ৩০ মার্চ সেখানে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি জানানোর পর আইইডিডিআর কর্তৃপক্ষ মরদেহের নমুনা সগ্রহ করেনিয়ে গেলে ২ এপ্রিল রিপোর্টে বলা হয় তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।