নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি অননুমোদিত নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এসময় বিপুল পরিমান অ্যালকোহল, নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার জব্দ করেন তারা। নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরীর অবিযোগে কারখানার মালিককে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার নোয়াগাঁও এলাকায় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
র্যাব-১১ এর সিপিএসসি কমান্ডার মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নোয়াগাঁও এলাকায় অবস্থিত ১টি অননুমোদিত কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের দায়ে কারখানার মালিক মোঃ জামাল মিয়া(৫৪)কে গ্রেফতার করে। এ সময় উক্ত কারখানা হতে ১৫০০ লিটার অ্যালকোহল, ১০০ মিঃ লিঃ ওজনের ACME ব্যান্ডের নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ১৩০০ বোতল, ৫০ মিঃ লিঃ ওজনের RANGER ব্যান্ডের নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ২৫০ বোতল, ৫০ মিঃ লিঃ ওজনের লেবেলবিহীন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ২৫০ বোতল সহ সর্বমোট ১৮০০ বোতল নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ১২৫০ টি RANGER ব্যান্ডের লেবেল জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন নোয়াগাঁও এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ গ্রেফতারকৃত জামাল জানান, বিশ¡ব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মহামারী আকার ধারণ করায় এবং করোনা ভাইরাস জনিত সংক্রামক রোগ কোভিড-১৯ এর বিশ¡ব্যাপী প্রাদুর্ভাব ও দ্রুত বিস্তারের ফলে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় তিনি দেশী ও বিদেশী ব্রান্ডের নামে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন ও বাজারজাত করে আর্থিকভাবে লাভবান হবার জন্য ভোক্তাদের সাথে প্রতারণার করে আসছিলেন।
জসিম উদ্দিন চৌধুরী আরো জানান, কোন প্রকার কেমিষ্ট বা প্রশিক্ষিত লোক ছাড়া এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারজাতের ফলে ব্যবহারকারীরেদ ত্বকে বিভিন্ন রোগব্যাধি সৃষ্টি হতে পারে।
তাই এই কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্টানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।