খুলনার দাকোপে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দফা হামলা মারপিট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।আশংকাজনক অবস্থায় আহত আনোয়ারকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলের নিবিড় পর্যবেক্ষনে থাকা আনোয়ারের গত ৬ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি। এঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আর ৭ জনের নামে দাকোপ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দাকোপ থানায় দায়েরকৃত এজাহার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত ২৯ মার্চ উপজেলা সদর আনন্দ নগর গ্রামের মৃত কোরবান খানের ছেলে বোরহান খানের ক্ষেতের তরমুজ প্রতিবেশী মৃত বসির শেখের ছেলে ইকতার শেখের গরুতে খায়। ক্ষেত মালিক বোরহান গরুটি ধরে নিয়ে নিজ বাড়ীতে আটকে রাখে।ওই দিন বেলা ১২ টার দিকে ইকতার গরু আনতে গেলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়ে ক্ষেত মালিক বোরহান দাকোপ হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে ইকতারের ভাই মুক্তার শেখ এ ঘটনার মামলার আসামীদের সাথে নিয়ে বোরহানকে দেখতে হাসপাতালে যায়। এ সময় মুক্তারকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে বোরহান আসামীদের হুকুম দেয় ‘আমি হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ইকতারকে হাসপাতালে পাঠাবি’। পরিস্থিতি বুঝে মুক্তার হাসপাতাল থেকে সরে পড়ে। এরপর ওই দিন বিকাল ৫ টার দিকে আসামী মোহেদী মোল্যা, মেসকাত মোল্যা, মেজবামোল্যা, সফিক মোল্যা, আইয়ুব মোল্যা, আলমগীর মোল্যা, সোলাইমান মোল্যা, ইমরান মোল্যা, ইউনুস মোল্যা, জাকার গাজী, আনিস মোল্যা, ওহাসান মোল্যার নেতৃত্বে ১৮/২০ জন সশস্ত্র অবস্থায় গিয়ে ইকতার শেখের বাড়ীতে হামলা ও ঘরে অগ্নি সংযোগ করে। আগুন নিভাতে এবং হামলাকারীদের নিবৃত করতে গেলে ইকতার শেখ, তার ভাই মুক্তার শেখ,আনোয়ার শেখ, মোস্তফা, ভাইপো আব্দুল্লাহ, ওসমান, ভাগনে রফিকুল,গৃহবধু পারভীন, রকি, কন্যা আয়েশাসহ পরিবারের সদস্যরা বেধড়ক মারপিট ও দায়ের কোপে রক্তাক্ত জখম হয়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে দাকোপ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
এর মধ্যে আনোয়ারের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রেফার্ড করে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানেও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকলে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে সঙ্গাহীন অবস্থায় আইসিইউতে ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষনে আছে। এ ঘটনায় ইকতারের ভাই মুক্তার শেখ বাদী হয়ে উল্লেখিত ১৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৭জনকে আসামী করে দাকোপ থানায় মামলা দায়ের করে।
উল্লেখ্য, সদ্য মাস্টার্স পাস করে যশোরে একটি এনজিওতে চাকুরীরত আনোয়ার করোনা পরিস্থিতির কারণে ছুটিতে বাড়ীতে এসে এই হামলার শিকার হয়।