হিরণ মিয়া। পেশায় দিনমজুর। করোনা ভাইরাসের কারণে এলাকায় কোনো কাজ পাচ্ছিলেন না। খুব কষ্টে কাটছিল তার দিন। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের জয়বিষ্ণুপুর, হরশি ও বানিপাট্টা গ্রামে হিরণ মিয়ার মতো আরো অনেকের বাস। দিন এনে দিন খায় যারা। এমন ৭০টি পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন দুই প্রবাসী যুবক ইমরান খান ও ইয়াসির হামিদ। নিজ উদ্যোগে অভাবী পরিবারগুলোকে কয়েকদিন চলার মতো চাল, ডাল, তেল, আটা কিনে দিয়েছেন তারা।
সাহায্য পেয়ে জয়বিষ্ণুপুরের হিরণ মিয়া বলেন, ‘আমরা কাম কইরা খাই, কাম কাজ বন্ধ, সাহায্য পায়া অনেক খুশি অয়ছি। যারা এ সাহায্য করছে তারারে আল্লাহ অনেক বড় করুন।’
হরশি গ্রামের রেখা আক্তার বলেন, ‘আমার জামাই মইরা গেছে ৬ বছর অইছে, ২ ছেড়িরে লয়া আমার সংসার, সংসারে কামাই করনের মত কেউ নাই, আমি মানুষের ঘরে ঘরে কাম করি, কিন্তু দেশের এই পরিস্থিতিতে কেউ কামও দেয় না। সাহায্য পায়া আমি অনেক খুশি, মাইয়াদের মুখে চাইরটা ভাত তুইল্যা দিতে ফারবাম।’
জয়বিষ্ণুপুর গ্রামের ইমরান খান (২৭) থাকেন সৌদি আরবে। একই গ্রামের ইয়াসির হামিদ (২৮) কুয়েত প্রবাসী। দু’জনই কৃষকের সন্তান। বিদেশ যাওয়ার আগে পারিবারিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না তাদের। এখন সচ্ছল। তবে অতীত ভুলে যাননি কেউই। তারা বলেন, ‘আমাদের এ কাজ কাউকে দেখানোর ‘জন্য নয়। সমাজের বৃত্তবানরা যাতে গরীব মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায় সেটাকে অনুপ্রাণিত করতেই এমন উদ্যোগ।’