পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু নিয়ে লুকোচুরির অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসক মহলের একাংশও এই অভিযোগে সামিল হয়েছেন। রাজ্যের বিরোধীরা গত বৃহস্পতিবার থেকেই এ ব্যাপারে সরব হয়েছেন। বুধবারই রাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে অতিরিক্ত মৃত্যু খবর নিজেরা জানিয়ে দিয়ে আতঙ্ক তৈরি করছেন। তাই তিনি অনুরোধ করেছেন, সরকারের দেওয়া তথ্য প্রকাশ করার জন্য। এরপরেই তিনি রাজ্যে ৭ জন মৃত্যুও খবরকে খারিজ করে দিয়ে বলেচেন আসলে মৃত্যু হযেছেন তিন জনের। এর মধ্যেও একজনের কিডনির অবস্থা ভাল ছিলনা। অন্য আরেকজনের নিাউমোনিয়ায় মৃত্যু হযেছেন।
বাকী ৪জনের মৃত্যু যে করোনা ভাইরাসের কারণে হয়েছে তা নিশ্চিত নয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাজ্য সচিবালয় থেকে এক ঘন্টার ব্যবধানে দু রকমের তথ্য পাওয়ায় বিভ্যান্তিই তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য দপ্তরের করোনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৫৩ এবং মারা গিয়েছেন ৭ জন। কিন্তু তার পরেই রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজিব সিংহ বলেছেন, রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ এবং করোনায় মারা গিয়েছেন ৩ জন। ফলে সংবাদমাধ্যমে এটিই সরকারি ভাষ্য হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্টও সরকারি ভাষ্য প্রকাশের উপর জোর দিযেছেন্। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে একদিনে তথ্যেও পার্থখ্য নিয়ে রাজ্যেও বিরোধী বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সরাসরি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য কারচুপির অভিযোগ তুলছেন একই অভিযোগ করেছেন সিপিআইম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। চিকিৎসকদের একাংশ এই প্রসঙ্গে ডেঙ্গুতে মৃত্যুও তধ্য কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন্ রাজ্যে ডেঙ্গুতে কত মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান রাজ্য সরকার প্রকাশ করেনি। এমনকি কেন্দ্রীয স্বস্থ্য মন্ত্রককে ডেঙ্গুতে প্রতিটি মৃত্যুও তথ্য জানানোর নিয়ম থাকা সত্ত্বেও তা জানানো হয়নি। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে বহু চিকিৎসকের উপর অনৈতিক চাপ সৃষ্টির ফলে অজানা জ্বরে মৃত্যু বলে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার প্রবণতা দেখা গিয়েছিল বলে চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ। করোনার ক্ষেত্রেও সরকারিভাবে সঠিক তথ্য জানানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিজেপির। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে শুক্রবার চারজনের আক্রান্ত হবার খবর জানা গেছে। তার মধ্যে একজন নার্স রযেছেন। ফলে রাজ্যে এই প্রথম কোনও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, দমদমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ওই নাসর্ সেখানে ভর্তি এক করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। তাঁকে ওই হাসপাতালেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই নার্সের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের চিহ্নিত করতে হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ইতিমধ্যেই নার্সের পরিবারের দু’জনকে কোয়রেন্টিনে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।