বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নে জেলেদের ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে আটক করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন।
শুক্রবার বিকেলে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির তদন্তে গেলে চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর বিচার দাবি করে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউপির কার্ডধারী ৫৫০ জন জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ এর ৪৪ টন চাল গ্রহন করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু। প্রতি জেলেকে দুমাসের জন্য ৮০ কেজি করে বিতরণ করার কথা। কিন্তু চেয়ারম্যান ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতিতে প্রতি জেলেকে ৩০ কেজি করে বিতরণ করেছে। প্রতেক জেলেকে ৫০ কেজি চাল কম বিতরণ করেন। এতে ৫৫০ জন জেলের মোট ২৭ হাজার ৫০০ কেজি চাল আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু।
স্থানীয় আলম পহলান জানান, শুধু ভিজিএফের চাল ছারাও কাকচিড়া ইউনিয়নে পরিষদে যত ধরনের সহয়তা আসে তার সবক্ষেত্রেই দুর্নীতি করে এই চেয়ারম্যান।
এর আগেও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল।
ইউপি সদস্য সোনিয়া আক্তার জানান, রাতে চেয়ারম্যান ফোন দিয়ে জানায় আপনি ৪০ জনের নামের তালিকা দেন সকালে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করবো। তখন কোন মতে তাকে নামের তালিকা দেই। কিন্তু পরদিন সকাল ৭টায় পরিষদে এসে দেখি চাল বিতরণ করা শেষ।
ভিজিএফ চাল বিতরণে দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) রনজিৎ মিস্ত্রী জানান, চাল বিতরণের কোন খবর আমার জানা নেই। যেখানে চাল বিতরণের একদিন আগে আমাকে পরিষদ থেকে অবহিত করার কথা। সেখানে আমাকে না জানিয়ে আমার অনুপস্থিতিতে চাল বিতরণ হয়েছে, যা অনিয়ম।
পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির জানান, চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু চাল বিতরণ অনিয়ম করেছে। বরাদ্দকৃত ৪৪ মেট্রিকটন চালের মধ্যে শাড়ে ১৬ মেট্রিক চাল বিতরণের সঠিক প্রমাণ দিতে পেরেছে। বাকি শাড়ে ২৭ মেট্রিকটন চাল বিতরণের কোন সঠিক প্রমান দিতে পারেনি।