বাগেরহাটের শরণখোলায় সরকারি বরাদ্দ হওয়া ১০ টাকা কেজি ধরে হতদরিদ্রদের মাঝে বিক্রির জন্য রেশনিংয়ের ১৮ বস্তা চালসহ এক ব্যবসায়ী আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় শরণখোলা থানায় দু’জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শরণখোলা থানা সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন উপজেলার রায়েন্দা গ্রামের আ. মজিদ মুন্সীর ছেলে ও তাফালবাড়ী বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম লিটনের গুদাম ঘর থেকে রেশনিংয়ের সরকারি ১৮ বস্তা চাল উদ্ধার করে এবং তাৎক্ষণিক পুলিশ লিটনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মুদি দোকানী মো. রফিকুল ইসলাম লিটন (৩৫) ও সাউথখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক তারিকুল ইসলাম তারেক (৩৬) কে আসামী করে শরণখোলা থানায় উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আটককৃত লিটন বলেন, ওই দিন সন্ধ্যায় তাফালবাড়ী বাজারের বাসিন্দা মৃত আব্দুল হক হাওলাদারের ছেলে, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভেজের ভাই ও মেসার্স তারেক এন্টার প্রাইজের মালিক ডিলার মো. তরিকুল ইসলাম (তারেক) তার কাছ থেকে গুদামের চাবি নিয়ে কালো বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে চাল মজুদ করে। তারেক আমার বন্ধু বলে বিশ্বাস করে চাবি দিয়েছি।
স্থানীয় সুত্র জানায়, তারেক চাল বিতরণের সময় কার্ড ধারীদের নিকট থেকে ৩০০ টাকার পাশাপাশি পরিবহনের নামে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ১০ টাকা আদায় করে আসছেন।
এ ব্যাপারে তারেক জানান, তার উত্তোলিত সকল চাল বিতরণ করা হয়েছে।
তবে ওই চাল কোথা থেকে আসল তা আমার জানা নাই।
ট্যাক অফিসার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই বলেন, রেশনিংয়ের চাল বিক্রিয়ের সময় ডিলার আমাকে অবগত করেননি।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.কে আব্দুল্লাহ আল-সাঈদ জানান, এ ঘটনায় ২জনকে আসামী করে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অন্য আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত আছে।