× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গার্মেন্ট শ্রমিকরা দলে দলে ফিরছেন, পথে পথে ‘ভয়ঙ্কর’ চিত্র

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার ও বাংলারজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৪, ২০২০, শনিবার, ৬:১০ পূর্বাহ্ন

দল বেঁধে ঢাকা-গাজীপুরসহ শিল্পাঞ্চলে ফিরছেন পোশাক শ্রমিকরা। চলমান অঘোষিত লক ডাউনের মাঝেই যে যেভাবে পারেন ফিরে আসছেন কর্মস্থলে। যারা কোন যানবাহন পাননি তারা ফিরছেন হেঁটে। গাজীপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, চট্টগ্রাম থেকে আমাদের প্রতিনিধিরা যে তথ্য দিয়েছেন তাতে এক ভয়ঙ্কর চিত্র পাওয়া গেছে। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার মধ্যে দলে দলে পোশাক শ্রমিকদের এই ফেরা ভয় জাগাচ্ছে মানুষের মনে। ক্রমে করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়ার মধ্যে সড়কের এমন চিত্র নিয়ে সমালোচনায় মুখর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বলা হচ্ছে করোনার বিস্তার রোধে যেখানে মসজিদ বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত আসছে সেখানে এই শ্রমিকদের এভাবে ডেকে আনা কি ধরণের দায়িত্বশীলতা। অসহায় শ্রমিকরা চাকরি বাঁচানো বা বেতন পাবার আশায় ঝুঁকি নিয়ে ফিরছেন।
এই ঝুঁকির দায়তো নিয়োগদাতা তদারক প্রতিষ্ঠানের ঘাড়ে পড়ে। সরকারি সিদ্ধান্তে সব ধরণের গণপরিবহন বন্ধ হওয়ায় শ্রমিকরা যে ঝুঁকি নিচ্ছেন এর দায়ভারই বা কে নেবে।


ইকবাল আহমদ সরকার, গাজীপুর থেকে জানান, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার পোশাক শ্রমিক দলে দলে ফিরছেন গাজীপুরে। তারা ট্রাক- পিকআপ ভ্যান এমনকি কাভার্ড ভ্যানে চড়ে এক সঙ্গে এবং ছোট ছোট হালকা যানবাহনে আসছেন দলে দলে। ৫ই এপ্রিল থেকে গাজীপুরের অধিকাংশ পোশাক কারখানা খোলার কথা রয়েছে। আর কর্মস্থলে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে করোনার ঝুঁকি মাথায় নেয়ার পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ পথে গাদাগাদি করে, দাঁড়িয়ে থেকে তারা ফিরছেন গাজীপুরে। শনিবার সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কর্মজীবী মানুষের স্রোত দেখা গেছে। একইভাবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উত্তর এলাকার মানুষও এসেছেন দলে দলে। শ্রমিকরা বলছেন, স্বল্পসংখ্যক পোশাক কারখানা শনিবার থেকে খোলা হয়েছে। তবে অধিকাংশই খোলা রোববার থেকে। সেজন্যই তারা উপায়ান্তর না পেয়ে ফিরছেন কষ্ট করে, অতিরিক্ত ভাড়ায়। শ্রমিকরা বলছেন, করোনাভাইরাস এর ঝুঁকি যেমন তাদের রয়েছে তেমনি তাদের রয়েছে চাকরি হারানোর ঝুঁকি। কেননা, যেদিন ছুটি দেয়া হয়েছে সেদিনই কারখানা কর্তৃপক্ষ বলে দিয়েছে যথাসময়ে কারখানায় হাজির হতে। নির্ধারিত সময়ে হাজির না হতে পারলে চাকরি থাকবে না।


রিপন আনসারী, মানিকগঞ্জ থেকে জানান, শনিবারের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে একটি করে ফেরি নোঙ্গর করছে আর তাতে কোন যানবাহন নেই আছে শুধু মানুষ আর মানুষ। শরীরের সাথে শরীর ঘেষে এক ধরনের গাদা গাদি করেই মানুষের ফেরিতে উঠা-নামার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে সকাল থেকে।  যেখানে করোনার মতো মহামারী ঠেকাতে সারা দুনিয়া কার্যত লক ডাউন হয়ে আছে সেখানে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের এমন দৃশ্য মানুষজনকে ভাবিয়ে তুলবে।  শনিবার সকাল থেকে মানুষের উপচে পড়া ভীড়ে বিপর্যস্ত পাটুরিয়া ঘাট। দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা একেকটি ফেরি থেকে হাজারো যাত্রী নামছে এই ঘাটে। তবে ঘাটে নেমেই বেকায়দায় পড়ছেন বিশেষ করে পোষাক কর্মীরা। যাত্রীবাহী  বাস ও কোচ নেই। নেই গাবতলিগামী  লোকাল বাসও। তাই তো ঘাট থেকে বেশীর ভাগ মানুষ মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে শিবালয় উপজেলার উথুলী বাস ষ্ট্যান্ডে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে কেউ ছোট বড় ট্রাক আবার কেই অটো রিকসা আবার কেউ ভ্যান গাড়িতে চড়ে যাচ্ছে ঢাকার উদ্দেশ্যে।
স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, রোববার থেকে থেকে কিছু গার্মেন্টস ও কারখানা খুলছে। অথচ পরিবহন বন্ধ। বাড়ি এসে আটকে পড়া মানুষ কাজে যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছুতে নানা উপায়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে মানুষ যাচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর