× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের পাশে মোসাদ্দেক

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৪ এপ্রিল ২০২০, শনিবার

এবার হিজরা সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার শুরুতে ২০০ পরিবারকে দিয়েছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য। এরপর তিনি এগিয়ে এসেছেন সমাজের অবহেলিত শ্রেণি তৃতীয় লিঙ্গের জন্যও। মূলত সমাজের অবহেলিত হিজরারা দোকান, বাসা-বাড়ি ও গণপরিবহনে চড়ে নিজেদের জীবিকার জন্য অর্থ সংগ্রহ করে মানুষের কাছ থেকে। তবে বর্তমানে প্রায় সব কিছুই বন্ধ হয়ে গেছে। তাই তাদের টাকা রোজগারের পথও নেই তেমন। এই কারণেই তরুণ এই ব্যাটসম্যান নিজের এলাকার বেশ কয়েকজন হিজরাকে দিয়েছেন খাদসামগ্রী। এই বিষয়ে মোসাদ্দেক দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ‘আসলে দেশের যে পরিস্থিতি তাতে যতটা না করোনা আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ তার চেয়ে বেশি অভাবে।
বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায় এমন মানুষ গুলো সব রোজগারের পথ বন্ধ। শুরুতে তাদের জন্য কিছুটা করেছি। এরপর দেখলাম যে যারা হিজরা আছেন, তাদের পাশেও কেউ নেই। ওদের সব আয়ের পথ গুলো বন্ধ। ওদের কেউ বাসাতেও ঢুকতে দেয়না, অন্য চোখে দেখে। এরাও তো মানুষ, তাই আমি আমার নিজের এলাকাতে এমন (হিজরা) যারা আছে তাদের কিছুটা হলেও পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’

অন্যদিকে মোসাদ্দেক স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তার এই উদ্যোগগুলো লোকদেখানোর জন্য নয়। আর সবার প্রতি অনুরোধ করেছেন যেন এই সময়ে যেন কেউ এসব লোকদেখানোর জন্যও না করেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই দেশেরই সন্তান। আমার সক্ষমতা আছে মানুষের বিপদে এগিয়ে আসার। তাই কেন বসে থাকবো। আমি যা করছি তা লোক দেখানোর জন্য নয়। আমার মনে হয়েছে এই বিপদের সময় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো উচিত তাই করছি। আর সকলের কাছে অনুরোধ, উপকারটা কাউকে দেখানো বা সার্থের জন্য না করেন।’ কতদিন তিনি এই ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াবেন তাও জানিয়েছেন মোসাদ্দেক। তিনি বলেন, ‘যত দিন আমার পক্ষে সম্ভব। তার মানে আমার সামর্থ্যে যতটা কুলাবে ততো দিন আমি করবো। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ গুলো যেন না খেয়ে থাকতে হয় সেটার ব্যবস্থা করার চেষ্টা থাকবে।’

দরিদ্র জনসাধরণের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি নিজের ফিটনেস নিয়ে চিন্তায় আছেন জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘অবশ্য ক্রিকেটারদের ফিটনেস অনেক বড় একটা বিষয়। আমাদের নিয়মিত মাঠে না যেতে পারলে ক্ষতিতো হচ্ছেই। তবে কি করার আছে! মেনে নিতে হবে। আর বাসাতে যতটুকু সম্ভব সেই কাজগুলো করছি যেন অন্তত ফিটনেসটা ধরে রাখতে পারি। যেমন জিম করা, বেল্ট দিয়ে কিছু কাজ আছে সেই গুলো করা। পারছি না শুধু খোলা মাঠে দৌড়াতে। আশা করি সব দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। আমরা আবারও মাঠে ফিরতে পারবো। আপাতত সবাই মিলে এই বিপদ মোকাবেলা করি সেটাই লক্ষ্য।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর