চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। গত মার্চে মাসওয়ারি ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫.৪৮ শতাংশ। এর আগের মাসে এই হার ছিল ৫.৪৬ শতাংশ। মার্চ মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কমেছে। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্যে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
বিবিএস পরিসংখ্যান বলছে, মার্চ মাসে জাতীয় মজুরি হার বেড়েছে ৬.৪৬ শতাংশ। এর মানে, যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে, এর চেয়ে মজুরি বেশি বেড়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও তা ক্রয়ক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে না।
গত মার্চ মাসে সার্বিকভাবে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বিবিএসের তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, গত মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৪.৮৭ শতাংশ।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই হার ছিল ৪.৯৭ শতাংশ। গত মার্চ মাসে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ৬.৪৫ শতাংশ হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই হার ছিল ৬.২৩ শতাংশ।
বিবিএস বলছে, গত মার্চ মাসে গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি ছিল। গত মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.৪৯ শতাংশ, আর গ্রামে ছিল এ হার ৫.৪৭ শতাংশ।