প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। সরকারের পক্ষ থেকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে নিদের্শনা । জননিরাপত্তায় সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। দেশের বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলায় গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে থাকে কমিউনিটি পুলিশ। এবার করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জনসমাগম এড়াতে কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও এসএমএস এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে জনতাকে সচেতন করা হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় জেলা পর্যায়ে একজন করে এএসপি এই দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় পুলিশের কী- উদ্যোগ তা কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের জানাচ্ছেন। এছাড়াত্ত গুজব রোধে পুলিশের এই বিভাগটি মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা অনলাইনে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। জননিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (কমিউনিটি পুলিশ) সহেলী ফেরদৌস মানবজমিনকে জানান, করোনা ভাইরাসে জননিরাপত্তার কথা ভেবে জনসমাগম এড়ানোর জন্য কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে অনলাইনে কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এসএমএস-এর মাধ্যমে আমাদের নির্দেশনাগুলো বিভিন্ন স্থানে পৌঁছানো হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার শুরু হবে কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রম।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের অপরাধ দমন ও বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশকে সহযোগিতার জন্যই কমিউনিটি পুলিশিং সৃষ্টি হয়েছে। জেলা ও থানাভিত্তিক কমিউনিটি পুলিশিং রয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিংয়ে সব দলের লোকজন থাকে। সামাজিক স্থিতিশীলতা ব্যাপারে সমাজের সকল মানুষের ঐক্যমত আনাটাই এই বিভাগের মূল কাজ।
সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মাঠে কাজ করছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে জনসাধারণের জন্য একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা মানছেন তাদের ওপর বিধি অনুযায়ী আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। লোক সমাগম হলে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এই তথ্যটি স্মরণ করে পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ্ থেকে কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। সব কার্যক্রম মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হচ্ছে। যাতে যাতে করোনা ভাইরাস কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যদের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে। দেশের এই ক্রান্তকালে এ বিভাগের কার্যক্রমকে আরও কীভাবে জোরদার করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে পুলিশের শীর্ কর্মকর্তারা।