× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধে ডিআইএফই’র চিঠি

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৪, ২০২০, শনিবার, ৮:৫২ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটিকালীন পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ছাঁটাই বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয় বরাবর একটি চিঠি দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই)। ডিআইএফই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত মাসে বাংলাদেশে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প কারখানাসহ প্রায় ১৬ হাজার ৮০০ কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েন ৩২ লাখ শ্রমিক। এই বিপুল সংখ্যক শ্রমিককে লে অফ করে অর্থাৎ তাদের মূল বেতনের অর্ধেক পরিশোধ করে, তাদেরকে ছাঁটাই করে দেয়া হবে জানতে পেরেছে ডিআইএফই।
এ অবস্থায় যেসব কারখানা মালিক শ্রমিকদের ছাঁটাই করছেন বা ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছেন, সেটা বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয়, শিল্প পুলিশ, বিভাগীয় কর কমিশন, জেলা প্রশাসক ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই বরাবর একটি স্মারক চিঠি দিয়েছে সরকারের সংস্থাটি । বর্তমান দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব ছাঁটাই বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা চেয়ে এই চিঠি দেন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়। ওই চিঠিতে তিনি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।

অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় বলেন, বেশ কিছু কারখানা থেকে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হবে এরকম বেশ কিছু তথ্য অধিদপ্তরের কাছে এসেছে।
এখন শ্রমিকরা যোগদানের পরে যদি জানতে পারে তাদের ছাঁটাই করা হবে, তখন একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, সামনে রোজা আর ঈদ আসছে। এ অবস্থায় শ্রমিক ছাঁটাই করা হলে তাদের জন্য জীবন ধারণ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। তাই এ বিষয়টি  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে  প্রধানমন্ত্রীর ৩১ দফা নির্দেশনার ২২তম দফায় বলা হয়েছে, শিল্প মালিকরা শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারবেন।

এদিকে, শ্রমিকদের ছাঁটাইয়ের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। শ্রমিক নেতারা জানান, এই ছুটির সময়ে গাজীপুর, টঙ্গি, উত্তরাসহ আরো বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকটি কারখানায় হাজার হাজার শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। আবার অনেক শ্রমিকদের জন্য লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ শ্রমিকদের মূল বেতনের অর্ধেক দেয়া হবে। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সংকটকালীন সময়ে শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধের জন্য ৫০০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। মালিকরা সরকারি ছুটি অমান্য করে শ্রমিকদের দিয়ে জোর করে কাজ করাচ্ছে। দূর দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে এই শ্রমিকদের কারখানায় আসতে হচ্ছে। এই শ্রমিকদের নিরাপত্তা কী?

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, সরকার টাকা দিয়েছে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য, কিন্তু মালিকরা এই টাকা নিজেদের ফান্ডে নিতে চাইছেন। আমরা কোন আস্থা পাচ্ছি না এই টাকা শ্রমিক পর্যন্ত পৌঁছাবে। কারণ এই টাকা থাকা সত্ত্বেও মালিকরা লে-অফের নোটিশ দিচ্ছে। এদিকে সরকার সাধারণ ছুটির সময়সীমা ৯ই এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ালেও অধিকাংশ কারখানা পূর্ব ঘোষিত ৪ঠা এপ্রিলের পরে আর ছুটি বাড়ায়নি। এই সময়ে শ্রমিকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলা হচ্ছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো শ্রমিক চাকরি হারাবেন না। এ বিষয়টি বিজিএমইএ’র প্রত্যেক সদস্যের কাছে নির্দেশনা দেয়া আছে। এছাড়া যত কষ্টই হোক শ্রমকিরা মার্চ মাসের বেতন পাবেনই।
Ok
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর