× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মিরপুরের মৃত ব্যক্তি কিভাবে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন?

অনলাইন

শুভ্র দেব
(৪ বছর আগে) এপ্রিল ৪, ২০২০, শনিবার, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

ঢাকার  মিরপুর-১১ নম্বরে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা গেছেন। ওই ব্যক্তি কিভাবে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তা কেউ ধারণা করতে পারছে না। তিনি সম্প্রতি কোন দেশ ভ্রমণ করেননি। বিদেশ থেকে তার পরিবারের কেউ আসেওনি। মসজিদ ছাড়া তিনি অন্য কোথাও যেতেন না। সাবেক এই ব্যাংক কর্মকর্তা অবসরের পর বাসায়ই থাকতেন। শুধুমাত্র সময়মত বাসার পাশের তাইয়্যিবা  মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তেন। পরিবারের সদস্যরাও তার করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না।
আর আইইডিসিআর জানিয়েছে তদন্ত করে কিভাবে তিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন সেট জানার চেষ্টা চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৃত অবসরপ্রাপ্ত এই ব্যাংক কর্মকর্তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলায়। পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি মিরপুর ১১ নম্বরের একটি বাসায় থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। তার হাটে রিং লাগানো ছিল। ২৬ মার্চ থেকে তার ঠা-াজনিত সমস্যা দেখা দেয়। পরিবারের সদস্যরা তখন তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা ঠা-জনিত কিছু ওষুধপত্র দিয়ে তাকে ছেড়ে দেন। কিন্তু বৃদ্ধের ঠা-জনিত সমস্যা না কমাতে তাকে পরবর্তীতে  মিরপুরের  ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছিল। তখন ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কতৃপক্ষ তার করোনা হয়েছে এমন সন্দেহ করে  কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়। পরে তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার তার শরীরের তাপমাত্রা আরও বেড়ে যায়। পরে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। কুর্মিটোলার চিকিৎসকরা অবস্থা দেখে ভর্তি নিতে নারাজি ছিলেন। পরে  ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসকের রেফারেন্স দিলে ভর্তি নেয়। পরে হাসপাতাল থেকে ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা করা হয়।  তাতে করোনা পজিটিভ আসে।  শুক্রবার দুপুরে তিনি কুর্মিটোলা হাসপাতালে মারা যান। ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে তালতলা কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এদিকে করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর এই ভবনের সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রেখেছে পুলিশ। আশপাশের বাসার বাসিন্দাদেরও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।  ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, মৃত ব্যক্তি যে ভবনে থাকতেন ওই  ভবনের সকল বাসিন্দাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। ভবনের আশেপাশে মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। তিনি যে মসজিদে নামাজ পড়তেন ওই মসজিদে নামাজ পড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এলাকাবাসী সিদ্ধান্ত নিবে। আইইডিসিআর তার বিষয়ে তথ্য নিচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর