চীনের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দীর্ঘ অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও দেশটির জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটি প্যানেলে স্থান পেয়েছে। এতে চীন এখন পরিষদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থী নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারবে। এ খবর দিয়েছে ফক্স নিউজ।
খবরে বলা হয়, গত ১লা এপ্রিল জেনেভায় চীনের মিশনের মন্ত্রী জিয়াং দুয়ানকে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কনসাল্টেটিভ গ্রুপ বা পরামর্শদানকারী দলের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দলটিতে পাঁচটি অঞ্চলের প্রতিনিধি রয়েছে। এর মধ্যে দুয়াং একজন। অন্যান্যদের মধ্যে স্পেন, স্লোভেনিয়া ও চাদ থেকে যথাক্রমে পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউরোপীয় ও অন্যান্য দেশ, পূর্বাঞ্চলীয় ইউরোপীয় দেশ, আফ্রিকান দেশগুলোর প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয় দেশগুলোর প্রতিনিধি এখনো নিয়োগ দেয়া হয়নি। আগামী বছরের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত এই প্রতিনিধিরা দলটির পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবেন।
মানবাধিকার পরিষদের প্যানেলে চীনকে স্থান দেয়ার সমালোচনা করেছে জাতিসংঘেরই মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ বিষয়ক সংস্থা ইউএন ওয়াচ। সংস্থাটি বলেছে, চীন সরকারকে মানবাধিকার কর্মকর্তা নিয়োগে ভূমিকা রাখতে দেয়াটা অযৌক্তিক ও নীতিবহির্ভূত।
ইউএন ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক হিলেল নিউয়ের বলেন, চীনের অত্যাচারী ও অমানবিক সরকারকে বাকস্বাধীনতা, নির্বিচারে বন্দি করা ও গুমের মতো ব্যাপার তদন্তকারীদের বাছাই করতে দেয়াটা, শহরের আগুন নিয়ন্ত্রণকারী প্রধানের উপর স্বেচ্ছায় আগুন লাগিয়ে দেয়ার মতো।
সংস্থাটি জানিয়েছে, চীন এখন থেকে অন্তত ১৭ জন তদন্তকারী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করবে।
প্রসঙ্গত, উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্যাতন, বাকস্বাধীনতা হরণসহ বহু বিষয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে।